হাজীগঞ্জে যুবদলের ৩৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী একই সময়ে আলাদা আলাদা গ্রুপে অনুষ্ঠিত হওয়ায় শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশের সাথে যুবদল নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে পণ্ড হয়ে যায় কর্মসৃচি।
এদিকে পুলিশের সাথে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অংশ নিতে দেখা গেছে।
এ ঘটনায় হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাঈন উদ্দিন, এ এস আই রফিক ও কনেস্টবল ইসমাইল, হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হায়দার পারভেজ সূজনসহ যুবদলের প্রায় ৩০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। আহতরা উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। পুলিশ হাজীগঞ্জ বাজারের বিভিন্নস্থান থেকে যুবদল ও ছাত্রদলের সাত কর্মীকে গ্রেফতার করেছে।
আটককৃতরা হলেন, রায়চোঁ এলাকার মিন্টু চন্দ্র দাস (২৭), জহির (৩০), বাড্ডা এলাকার হান্নান (১৭), আবু তাহের, মনতলার সাজিদ (১৮), রান্ধুনীমুড়ার ইসমাইল হোসেন (২৫), মোজাম্মেল হক জনি (১৮) ও রাজু (২০)।
বিকাল ৪টা উপজেলা যুবদলের সভাপতি আক্তার হোসেন দুলালের সভাপতিত্বে সভা শুরু হয়। কয়েকজনের বক্তব্যের পর পুলিশ হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় যুবদলের উপর ক্ষিপ্ত হয়।
মুর্হূতের মধ্যে পুলিশ ও যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে আসা শত শত নেতা-কর্মীরা ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল ও লাটিপেটা শুরু করে।
বিএনপির যুবদলের নেতা কর্মীরা রামগঞ্জ সড়কের রান্ধুনীমুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্মুখে, চাঁদপুর-কুমিল্লা সড়কের টোরাগড় এলাকায় ও হাজীগঞ্জ স্টেশনরোডের বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে টায়ারে আগুন জালিয়ে বিক্ষোভ করে।
প্রায় তিন ঘন্টাব্যাপি হাজীগঞ্জ বাজারে বিভিন্নস্থানে ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করতে দেখা গেছে।
এদিকে জেলা ছাত্রলীগ নেতা নাহিদুল ইসলাম সোহেলের নেতৃত্বে ও হাজীগঞ্জ শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বির নেতৃত্বে ছাত্রলীগের কয়েক শত নেতাকর্মী জড়ো হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। তবে পুলিশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রনে রেখে বিএনপির কর্মীদের টিয়ারসেল নিক্ষেপের মাধ্যমে প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।
যুবদলের সভাপতি আক্তার হোসেন দুলাল ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সুমন বলেন, ‘পুলিশ ও ছাত্রলীগ আমাদের শান্তপ্রিয় অনুষ্ঠান ষড়যন্ত্র করে পল্ড করেছে।’
এদিকে যুবদলের ডাকা আলোচনা সভার প্রধান অতিথি ইঞ্জিনিয়ার মুমিনুল হক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পুলিশের হামলা আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানান। বর্তমান সরকারের সময়ে কোন গণতন্ত্র নেই। পুলিশ দিয়ে শান্তিপূর্ন অনুষ্ঠান ভানচাল করছে আওয়ামী লীগ। আজকের আলোচনা সভার প্রধান অতিথি হিসাবে যোগদান করতে এসে দেখি সব পন্ড হয়ে যায়।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাবেদুল ইসলাম বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা আমার পুলিশের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। আমরা বাধ্য হয়ে পরিশ্চিতি নিয়ন্ত্রন রাখার জন্য চেষ্টা করেছি। তার পরেও আমাদের তিন পুলিশ আহত হয়েছে। ওই সময় সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়।
এ বিষয়ে রাতের মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়েরের প্রস্ততি নিচ্ছে বলে জানান তিনি।
করেসপন্ডেন্ট
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১ : ০০ পিএম ২৮ অক্টোবর ২০১৭,শনিবার
এইউ