হাজীগঞ্জ

হাজীগঞ্জে মেহেদীর রং না মুছতেই বাল্য বিয়ের শিকার স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে মেহেদীর রং না মুছতেই বাল্যবিয়ের শিকার এক স্কুলছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৯ ফেব্রæয়ারি) ময়নাতদন্ত শেষে ওই তার নিজ বাড়ির পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।

ঘটনার সুত্রে জানাযায়, উপজেলার কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নের তারাপাল্লা গ্রামের প্রধানিয়া বাড়ীর প্রবাসী মফিজুল ইসলামের মেয়ে, কচুয়া কাশিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী মহিমা আক্তার (১৫) এর সাথে একই গ্রামের বেপারী বাড়ীর মতিন বেপারীর ছেলে প্রবাসী শামীম বেপারীর গত ১৯দিন পূর্বে বাল্য বিয়ে সম্পন্ন হয়।

বিয়ের সময় ওই স্কুল ছাত্রী বাল্য বিয়ের প্রতিবাদ করার পরেও তার পরিবার জোর পূর্বক বিবাহ দেয়। বিয়ের কয়েক দিন পরেই সে জানতে পারে তার স্বামী একজন মাদকাসক্ত। এ নিয়ে নিহত গৃহবধুর সাথে প্রতি রাতেই ঝগড়া হয় বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।

গত ১৭ ফেব্রæয়ারী নববধু মহিমাকে বেদম মারধর করে তার স্বামী শামীম বেপারী। তা জানতে পেরে মহিমা কাউকে না জানিয়ে সে তার বাবার বাড়ীতে এসে আশ্রয় নেয়। ওই দিনেই স্বামীর অত্যাচার ও মায়ের বঞ্চনায় সহ্য করতে না পেরে এ পর্যায় বিষ খেয়ে চটপট করতে থাকে। এ ঘটনা দেখে স্বামী ও তার মা শিরিনা বেগম দ্রæত পার্শবর্তী কচুয়া উপজেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায়।

পরে সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার মহিমাকে মৃত ঘোষণা করে এবং স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে জানালে এসআই জসিম ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চাঁদপুর মর্গে পাঠায়। তবে এ ঘটনায় কোনো পক্ষ থেকে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত কোনো অভিযোগ না করার কারনে তার মৃত্যু নিয়ে রহস্য থেকে গেলো।

মহিমার মৃত্যুতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. মানিক হোসেন প্রধানিয়া বলেন বিষয়টি শুনে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি সে আত্মহত্যা করেছে।

প্রতিবেদক- জহিরুল ইসলাম জয়
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৯:০৩ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, সোমবার
ডিএইচ

Share