হাজীগঞ্জ

হাজীগঞ্জে মিমুর আত্মহত্যা মানতে পারছে না পরিবার

আজ শনিবার(১৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে চট্টগ্রামগামী মেঘনা এক্সপ্রেস এ করে চট্টগ্রামে যাওয়ার কথা আবু তাসনি মিমুর। কিন্তু চলে গেলেন না ফেরার দেশে। শুক্রবার দিবাগত রাতে নানার বাসায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় দশম শ্রেণীর এই শিক্ষার্থী।

ঘটনাটি চাঁদপুর হাজীগঞ্জ পৌরসভার টোরাগড় কাজী বাড়িতে ঘটে। পুলিশ রাতেই মিমুর মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। শনিবার দুপুরে তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন পুলিশ।

মিমু কচুয়া উপজেলার আশরাফপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের মিয়াজী বাড়ি মৃত আব্দুল মতিনের বড়। সে হাজিগঞ্জ পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ এর দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

মিমুর মামা কাজী বাবলু বলেন,‘শুক্রবার বিকেলে ট্রেনের টিকিট কিনে এনেছি মিমু ও আমার মা- বাবাকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাব। কিন্তু রাতে মিমু চট্টগ্রামে যাবে না বলে জানান। নিমু একা বাসায় থাকতে চেয়েছিল। এনে তার নানীর সাথে রাগারাগি হওয়ায় দরজা লাগিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।’

এদিকে মিমুর চাচাতো ভাই শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মিমুকে হত্যা করা হয়েছে। তার মামা নিজে বাসায় থেকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে। ময়না তদন্ত করে সঠিক বিচার চাই।’

কান্নাজড়িত কণ্ঠে বিমূঢ় হয়ে মিমুর মা বলেন,‘আমার দেয়া জামাটা গায়ে দিয়ে আমার মিমু পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে। আমার কপালে সুখ হলো না। স্বামী নেই এখন বড় মেয়েও নেই। আমার আরও দুই মেয়ে আছে। অভাবের তাড়নায় বড় মেয়েকে বাবার বাড়িতে পড়াশোনা করানোর জন্য দিয়েছিলাম। কারো প্রতি কোন অভিযোগ নেই।’

হাজিগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তদন্ত আব্দুর রশিদ বলেন, ‘মিমুর মৃতদেহ হাতে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। মিমু একটি নাম্বারে নানীর মোবাইল থেকে কথা বলতো। আমরা চেষ্টা করবো সে কি কারনে চট্টগ্রামে নাগিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল। কারো সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।’

করেসপন্ডেট
১৬ ফেব্রুয়ারি,২০১৯

Share