হাজীগঞ্জে মালিকানা দ্বন্দ্বে ব্যবসায়ীদের মালামাল খোলা আকাশের নিচে

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে মালিকানা দ্বন্দ্বে কোন প্রকার পূর্ব নোটিশ ছাড়াই ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ীদের দোকানের মালামাল খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে। গত প্রায় এক মাস ধরে বাহিরে পড়ে থাকা মালামাল কিছু চুরি ও নষ্ট হওয়ায় ফলে কয়েক লক্ষ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ৫/৬ জন ব্যবসায়ী।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, হাজীগঞ্জ রামগঞ্জ সড়কের সেন্দ্রা দক্ষিণ বাজারে সাইফুল ইসলাম রনির মার্কেটে কয়েকজন ভাড়াটিয়ার দোকানের মালামাল গত এক মাস ধরে খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে। ক্ষতিগ্রস্ত এ দোকানের মালিকরা হচ্ছেন, টার্চ ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেম ও ডেকারেটর এর স্বত্বাধিকারী মো. মোক্তার হোসেন দাবি করেন প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। গাজী ইলেক্ট্রিক এর মালিক আরিফুর রহমানের প্রায় ২ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা। তাদের মতে লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতির দাবি করেন, মেডিসিন দোকান কালাম মোল্লা, মোবাইলের দোকান সালাম পাটোয়ারী ও ডাক্তার রিপন। এসকল ব্যবসায়ীরা এখন তাদের প্রতিষ্ঠান হারিয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে।

খোজ নিয়ে দেখা যায়, এ মার্কেটের মালিক মৃত সামসুল আলমের ছেলে সাইফুল ইসলাম রনির কাছ থেকে ভাড়া নেয় তারা। কিন্তু বহু বছর পর এ মার্কেটের অংশ ওয়ারিশ সৃত্রে মালিকানা দাবি করেন প্রতিপক্ষ পাশ্ববর্তী দিগদাইর গ্রামের মমিন ভৃঁইয়া। তার হয়ে আব্দুর রহিম আদালত ও স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে সাইফুল ইসলাম রনির ভাড়াটিয়াদের উচ্ছেধ করে সেখানে ইমারত নির্মানের কাজ চলমান রাখেন। এতে পূর্ব নোটিশ ছাড়াই এসব ভাড়াটিয়াদের মালামাল জোরপূর্বক খোলা আকাশের নিচে পেলে রাখার অভিযোগ উঠে।

এ বিষয়ে মার্কেটের ভাড়াটিয়া মোক্তার হোসেন বলেন, প্রতিপক্ষ মমিন ভৃঁইয়া ওয়ারিশ সম্পত্তি দাবি করে সেন্দ্রা বাজারের স্থায়ী ব্যবসায়ীদের এভাবে উচ্ছেধ করেছে তা সত্যি দুঃখজনক। নভেম্বর মাসের ২৭ তারিখ কোন নোটিশ ছাড়াই প্রায় এক মাস ধরে তাদের মালামাল মার্কেটের সামনে খোলা জায়গার উপর পড়ে আছে। এতে আমরা ৬ ভাড়াটিয়ার কয়েক লক্ষ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা বিষয়টি সেন্দ্রা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতিকে অবহিত করেছি।

মার্কেটের মালিক সাইফুল ইসলাম রনি বলেন, আমার ফুফা পাশ্ববর্তী ফরিদগঞ্জের দিগদাইর গ্রামের মমিন ভৃঁইয়া জোরপূর্বক আমার ভাড়াটিয়াদের উচ্ছেধ করেছে। আমরা এ বিষয়ে আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞা আনার পরেও জোরপূর্বক তারা ইমারত নির্মাণের কাজ করছে। আমি ভাড়াটিয়ারাসহ প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

প্রতিপক্ষ লোকজনের মতামতে জানাযায় তারাও আদালত থেকে অনুমতি পেয়ে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

সেন্দ্রা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাংলা একটি প্রবাদ আছে ‘হাডার হুতার ঘোষাঘুষি মচ্ছের দশা শেষ’ যার বাস্তব প্রমান এখানকার ভাড়াটিয়াদের।

নিজস্ব প্রতিবেদক, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২

Share