Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ / হাজীগঞ্জে মাদ্রাসার সম্পত্তি ২১ বছর পর উদ্ধার, পরিষদের সম্পত্তি পুনরুদ্ধারের দাবি
মাদ্রাসার

হাজীগঞ্জে মাদ্রাসার সম্পত্তি ২১ বছর পর উদ্ধার, পরিষদের সম্পত্তি পুনরুদ্ধারের দাবি

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে দীর্ঘ ২১ বছর রামচন্দ্রপুর কাশেমিয়া ছিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসার রামচন্দ্রপুর ৯২ নং মৌজার ৪৭ শতাংশ ভূমির ফিরে পেলো। নানা জটিলতা কাটিয়ে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ৭ নং বড়কূল পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হাসেমের একান্ত প্রচেষ্টায় কয়েক ধাপের মাপ জরিপের পর মাদ্রাসার ৪৭ শতাংশ ভূমির সীমানা নির্ধারণ করা হয়। মাদ্রাসার সম্পত্তির পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদের ৬২ শতাংশ ভূমি দখল পুনরুদ্ধারের দাবি করছেন স্থানীয়রা।

২৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার হাজীগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের উপস্থিতি কয়েকজন আমিন মাদ্রাসার চার পাশে সীমানা প্রাচীর নির্ধারণ করা হয়। এতে রামচন্দ্রপুর বাজারের অনেক দোকানপাট মাদ্রাসার অংশে পড়েছে। আর এতে করে বিপাকে পড়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও। দিনব্যাপী এ সীমানা নির্ধারণ পেয়ে দীর্ঘদিন পর মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, শিক্ষকমণ্ডলী, অভিভাবক সদস্য এবং ম্যানেজিং কমিটির নীতি নির্ধারকদের মাঝে উৎসবের আমেজ লক্ষ করা যায়।

এদিকে একই ভাবে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান যেন অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিষদের দখলে থাকা সম্পত্তি এভাবে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ৭ নং বড়কূল পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হাসেম বলেন, স্থানীয় সাংসদ মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম স্যারের একান্ত প্রচেষ্টায় নানা বাঁধা উপেক্ষা করে আমরা মাপ জরিপের মাধ্যমে ৪৭ শতাংশ ভূমি নির্ধারণ করতে সক্ষম হয়েছি। এ কাজে আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

মাদ্রাসা জায়গার বুঝ পেলেও ইউনিয়ন পরিষদের জায়গার বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন হেলালের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, পরিষদের ৬২ শতাংশ ভূমি উল্লেখ থাকলেও বিএস খতিয়ান ১১ শতাংশ ভূমির নাম উঠে। পরিষদের যায়গা ফিরে পেতে বিএস সংশোধনীর মামলা করা হয়েছে। কবে নাগাদ পরিষদের যায়গা ফিরে পাবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা অথচ মাদ্রাসা জায়গার বুঝ ইতিমধ্যে পেয়েছে।

রামচন্দ্রপুর কাশেমিয়া ছিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সীমানা প্রাচীর নির্ধারনের সময় উপস্থিত ছিলেন, মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ৭ নং বড়কূল পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হাসেম, মাদ্রাসার ফেন্সিপাল মাও. শামসুদ্দিন, উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মো. আবুল কালাম, ম্যানেজিং কমিটির সহ সভাপতি এমরান হোসেন খন্দকার, দাতা সদস্য জামাল উদ্দিন খন্দকার, অভিভাবক
সদস্য হাবিবুর রহমান, মফিজুল ইসলাম ও শাহাদাত হোসেন এবং ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি লোটাস দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

প্রতিবেদক:জহিরুল ইসলাম জয়,২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩