হাজীগঞ্জ

হাজীগঞ্জে মাইক্রো চালক মজনু হত্যার ঘটনায় ভাই ভাবিসহ আটক ৪

চাঁদপুর হাজীগঞ্জে মাইক্রো চালক মজনু হোসেন (২৮) ওরফে মজনু ড্রাইভারকে হত্যার ঘটনায় ভাই দুইভাবিসহ পরিবারের ৪ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।

আটকরা হলো-হত্যাকাণ্ডের শিকার মজনুর বড় ভাই মন্টু (৩৫) ও তার স্ত্রী শান্তা আক্তার (২৬), ছোট ভাই প্রবাসী মফিজের স্ত্রী মাহমুদা ও বড় ভাই কবিরের ছেলে সাইফুল (১৮)।

আটককৃতরা বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছে। তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং রিমান্ডের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন হবে বলে জানান হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন রনি।

আরও পড়ুন…হাজীগঞ্জে মাইক্রো চালকের রহস্যজনক গলাকাটা লাশ উদ্ধার

গত ১৫ ডিসেম্বর সকালে পৌরসভাধীন ৭নং ওয়ার্ড টোরাগড় গ্রামের আনোয়ার মিজি বাড়ির একটি দোতলা ভবন থেকে হত্যাকাণ্ডের শিকার মজনুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগের দিন দিবাগত রাতের কোন এক সময়ে ওই বাড়ির আনোয়ার মিজির ভবনে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহত মজনু টোরাগড় গ্রামের গাইন বাড়ির মরহুম আমিন মিয়ার সপ্তম ছেলে। তিনি পেশায় মাইক্রো চালক ছিলেন এবং নিজের গাড়ি নিজেই চালাতেন। মা ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রীসহ ওই ভবনের দোতালায় বাসা ভাড়া থাকতেন। তার পাশের কক্ষেই তার বড় ভাই মন্টু মিয়া তার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকেন।

ওইদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) মো. আফজাল হোসেন, হাজীগঞ্জ থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন রনি, পিবিআই পরিদর্শক মো. আবু বকর সিদ্দিকসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। পুলিশ ও পিবিআই মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট এবং ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ ও পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য গ্রহণ করে।

নিহতের ভাই মন্টু জানান, তার মা রুপবান বেগম ও ছোট ভাই প্রবাসী মফিজের স্ত্রী মাহমুদাসহ মজনু হোসেন একই ফ্লাটে বাসা ভাড়া থাকেন। ফ্লাটের সামনের রুমে মজনু ও পেছনের রুমে মাসহ তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী থাকেন। তিনি (মন্টু) স্ত্রী-সন্তানসহ পাশাপাশি কক্ষে ভাড়া থাকেন। এ দিন রাতে তিনি অসুস্থতাবোধ করায় ভোরে মায়ের কাছে গিয়ে মজনুর রুমের দরজা খোলা অবস্থায় দেখতে পান।

এরপর তিনি রুমের ভিতরে প্রবেশ করে খাটের উপর লেপের নিচে মজনুর পা বাঁধা রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে তিনি চিৎকার দেন। তার চিৎকার শুনে আশ-পাশের লোকজন ও পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত হয়ে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে দেখতে পান। পরবর্তীতে মাহমদুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ মজনুর মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে হাজীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পর মজনুর ছোট ভাই প্রবাসী মফিজের স্ত্রী মাহমুদাকে আটক করে পুলিশ। এরপর বড় ভাই মন্টু ও তার স্ত্রী শান্তা আক্তার এবং বড় ভাই কবিরের ছেলে সাইফুল আটক করা হয়।

প্রতিবেদক:জহিরুল ইসলাম জয়,২৪ ডিসেম্বর ২০২০

Share