চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে একটি পাঞ্জেগানা মসজিদ ভাঙ্গতে এক নারীর বিরুদ্ধে ভাঁড়াভাঁড়ির অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় মসজিদের মুসল্লিদের মাঝে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। এমন ঘটনাটি হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড মমিন রোডে মোহাম্মাদিয়া পাঞ্জেগানা মসজিদ নিয়ে তালবাহানা চলছে।
জানা যায়, মমিন রোডের চারপাশের বসবাসরত বাসিন্দাদের মাঝে মোহাম্মাদিয়া পাঞ্জেগানা মসজিদটি ২০২২ সালে গড়ে উঠে। এর আগে ২০১৫ সালের দিকে এই স্থানে ইমারত নির্মাণ করেন মমিন রোড এলাকার মৃত আশ্রাফ আলীর ছেলে আব্দুল মান্নান। সরকারের ‘ক’ তফসিল ভুক্ত ভূমিতে দোকান ঘর নির্মাণের কারনে প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা দেয়। সে থেকে নির্মাণকৃত ভবনটি প্ররিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল বছরের পর বছর। পরে এখানে স্থানীয় বখাটে যুবক ও মাদকসেবিদের আস্তানায় পরিনত হয়।
২০২২ সালে স্থানীয় ৩০/৩৫ জন মুসল্লি মিলে ভবনটি নির্মাণকারী আব্দুল মান্নান এর কাছে লিখিত স্ট্যাম্পের মাধ্যমে উক্ত জায়গায় পাঞ্জেগানা মসজিদ হিসাবে ব্যবহারের অনুমতি নেয়। একই সাথে মুসল্লিরা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমির বরাবর সরকারি সম্পত্তি ব্যবহারের জন্য আবেদন করেন। গত এক বছরের উপরে পাঞ্জেগানা মসজিদ কমিটি গঠনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মুসুল্লিরা নামাজ আদায় করে আসছে।
কিন্তু হঠাৎ করে বাঁধা হয়ে দাড়ায় পাশ্ববর্তী ৯ নং ওয়ার্ডের কংগ্রাইশ মাদ্রাসা বাড়ীর মৃত আব্দুর রশিদের মেয়ে নাজমা বেগম।
উক্ত মসজিদ কমিটির সভাপতি হাজী আব্দুল মান্নান, সাধারন সম্পাদক শাহ আলম মানিক ও মসজিদের পেশ ইমাম জাকির হোসেন বলেন, মূলত জায়গাটা হচ্ছে সরকারি। তৎকালীন যিনি দোকানের জন্য ইমারত নির্মাণ করতে গিয়ে নিষেধাজ্ঞা কবলে পড়েন সেই ভবন নির্মাণকারী আব্দুল মান্নান এর কাছে লিখিত স্ট্যাম্পের মাধ্যমে উক্ত জায়গায় পাঞ্জেগানা মসজিদ হিসাবে ব্যবহারের অনুমতি নেয়া হয়। যার কাছ থেকে ভবনটি ব্যবহারের অনুমতি নিয়েছি, তার কাছ থেকে কোন বাঁধাগ্রস্ত পাইনি। অথচ এ মসজিদ ভাঙ্গার জন্য বাঁধা হয়ে দাড়ায় তার আত্মীয় একই ওয়ার্ডের কংগ্রাইশ মাদ্রাসা বাড়ীর মৃত আব্দুর রশিদের মেয়ে নাজমা বেগম। তিনি গত কয়েক মাস ধরে এ জায়গা থেকে পাঞ্জেগানা মসজিদ ভেঙ্গে সেখাসে মাদ্রাসা করার স্বপ্ন দেখছেন। ইতিমধ্যে কিছু মদাকী ও গাঁজা খাওয়া ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে এ পাঞ্জেগানা মসজিদ ভাঙ্গার চেষ্টা করে আসছে।
মুসুল্লি আনোয়ার হোসেন, নরুল ইসলাম ফারুক, আবুল কালাম পাটোওয়ারী, মজিবুল হক তালুকদার চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, আমরা সাধারণ মুসুল্লি এ পাঞ্জেগানা মসজিদ নামাজ আদায় করে আসছি। কেউ যদি মসজিদ ভাঙ্গতে আসে তাহলে আমরা মুসল্লিরা এর প্রতিবাদ জানাই। সরকারের জায়গার উপর মসজিদ, সরকারের প্রয়োজন হলে তারা দখলে যাবে, অন্যকেউ যেন ভাঙ্গার চেষ্টা করতে না পারে সে জন্য আমরা প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
দখলের চেষ্টায় লিপ্ত নারী নাজমা বেগম বর্তমানে ওমরা হজ্ব পালনে সৌদিআরব থাকায় যোগাযোগ করার চেষ্টায় করেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ১৯ এপ্রিল ২০২৩