চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জে ভুয়া পল্লী চিকিৎসক গৌতমকে ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করেছে।
জানা যায়, উপজেলার ২নং বাকিলা ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার আবুল হোসেন বাকিলা মধ্য বাজারের ‘শুভ মেডিকেল হলে’র ভুয়া চিকিৎসক গৌতম কুমার দাসের ভুল চিকিৎসায় এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।
আর্সেনিক ও এলার্জি রোগের চিকিৎসা নিতে স্থানীয় শুভ মেডিকেলের ডাক্তার নামধারী গৌতম দাসের কাছে আসেন দফাদার আবুল হোসেন। ভুয়া পল্লী চিকিৎসক গৌতমের ভুল চিকিৎসার ঔষধ খেয়ে আবুলের অবস্থা আরো বেগতিক হয়। এ নিয়ে ক’দিন পূর্বে স্থানীয় একটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে টনক নড়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের।
তিনি ওই ভুয়া পল্লী চিকিৎসক গৌতমকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে অফিসে দেখা করতে লিখিত নির্দেশ দেন। কিন্তু ওই ভুয়া চিকিৎসক কর্মকর্তার নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে বীরদর্পে সাধারণ লোকদের সাথে চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে যাচ্ছিল।
অভিযোগ রয়েছে, ওই ভুয়া চিকিৎসকের পেছনে মদদদাতা রয়েছে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যক্তি। এমনই প্রমাণও পাওয়া গেলো বৃহস্পতিবার ওই ভুয়া চিকিৎসক গৌতম আটক হওয়ার পর। তাকে ছেড়ে নিতে তদবীর শুরু করে জাহাঙ্গীর আলম।
হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চাঁদপুর টাইমসকে জানান, “বাকিলা ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার আবুল হোসেনকে ভুল চিকিৎসা দেন গৌতম। তার ঔষুধ খেয়ে আবুলের শারীরিক অবস্থা আরো খারাপ হয়। বিষয়টি স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হলে তা আমার নজরে পড়ে। পরে তাকে আমি সাবধান হতে বলি এবং তাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আমার দপ্তরে দেখা করতে লিখিত নির্দেশ দেই। কিন্তু সে দেখা না করায় ৫ নভেম্বর বৃহস্পতিবার পুলিশ পাঠিয়ে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা আদায় করা হয়।”
শুভ মেডিকেলের পল্লী চিকিৎসক গৌতমের পিতা মনিন্দ্র কুমার দাস। তার পিতার সাথে দীর্ঘদিন থাকার সুবাদে অনুমান নির্ভর প্রতারণামূলক চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিল। কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ না নিয়ে ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা রোগীদের হাতুড়ে চিকিৎসা দিয়ে আসছিল প্রতারক গৌতম দাস।
এ ভুয়া পল্লী চিকিৎসক গৌতম দফাদার আবুল হোসেনসহ আরো অনেকেরেই এ ধরনের ভুল চিকিৎসার খেসারত দিতে হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
জহিরুল ইসলাম জয়
||আপডেট: ১০:৩৬ পিএম, ০৫ নভেম্বর ২০১৫, বৃহস্পতিবার
এমআরআর