চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জে কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের ভুল পরামর্শে এক কৃষকের আড়াই একর তরমুজ ক্ষেত এখন বিনষ্টের পথে।
জানা যায় পৌর এলাকার মৃত আ.মান্নান মুন্সীর ছেলে মো.শাহআলম মুন্সী পৌর এলাকার বদরপুর মাঠে এ বছরের শুরতে ভগা আড়াই একর জমির উপর তরমুজ ক্ষেতি করে। গত এক সপ্তাহ পূর্বে হাজীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুস সামাদ জমিতে ফসলের পোকামাকড়ের লক্ষণ দেখে ক্যারাটিয়া ও ভাটিম্যাক নামক দুইটি ওষুধ এক সাথে দেওয়ার পরামর্শ দেন। কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে কৃষক শাহআলম পুরো জমিতে ওষুদ ছিটিয়ে দেওয়ার ৩/৪ দিন পরে দেখতে পায় ভিন্ন লক্ষণ। তরমুজগুলো কেমন যেন হলদে ও কালো রং ধারণ করেছে। উপায়ন্তর খুঁজে না পেয়ে কৃষক শাহআলম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে ফোনে অবহীত করে এবং জমিতে সরেজমিনে আশার অনুরোধ করলেও তিনি আসতে পারবে না বলে জানায়।
দিন দিন তরমুজ ক্ষেতের লক্ষণ এমন রূপে ধারণ করেছে যে, গাছ ও ফল হলুদ ও বাদামী রংয়ে পরিণত হয়েছে। পোকামাকড় মরেছে সেই সাথে গাছ ও ফলও জ্বলে গেছে। কিছুদিন পূর্বে যে মাঠ ছিল চির সবুজ রংয়ে সে মাঠে এখন গরু-ছাগলের অভয়ারণ্যে ঘেরা।
এ বিষয়ে কৃষক শাহআলম মুন্সী বলেন, আমি আড়াই একর সম্পত্তি বর্গা নিয়ে সেখানে প্রায় আড়াই লাখ টাকা পুঁজি খাটিয়ে তরমুজ উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করি। দীর্ঘ ২ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর যখন ফল উঠাবো ঠিক এ সময় একদিন উপজেলা কৃষি অফিসার আ. সামাদ স্যার সরেজমিনে এসে আমাকে পোকামাকড়ের লক্ষণ থেকে বাঁচার জন্য ক্যারাটিয়া ও ভাটিম্যাক ওষুধ দিতে বলেন। তার পরামর্শে ওষুধ দিতে গিয়ে এখন আমার পুরো জমি জ্বলে গেছে। এতে আমার লক্ষমাত্রা ছিল ৫ লক্ষ টাকার ফসল উৎপাদন করার।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ বলেন, তিনি মূলত তরমুজ ক্ষেতির জন্য নতুন। যে যখন যা বলেছে তখন তার পরামর্শে ওষুধ ব্যবহার করে ফসল নষ্ট করেছে। আমার দেওয়া ওষুধে তা হয়নি। আমরা ভুল পরামর্শ দিতে পারি না ।
|| আপডেট: ০৯:১৩ অপরাহ্ন, ০৫ মার্চ ২০১৬, শনিবার
এমআরআর