Home / শীর্ষ সংবাদ / হাজীগঞ্জে ভবন ধস আতংকে দেড় শতাধিক শিশু শিক্ষার্থী
gondobbopur-hajigonj

হাজীগঞ্জে ভবন ধস আতংকে দেড় শতাধিক শিশু শিক্ষার্থী

যে কোনো মুহুর্তে দসে পড়তে পারে ভবনের ছাদ বা দেয়াল অথবা গ্রেডভিম। এমন আতংকের মধ্যে ঝুকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান চলছে হাজীগঞ্জ উপজেলার ১৪৮ নং গন্ধব্যপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

যেকোন সময় বিদ্যালয়ের দেওয়াল ধসে ও গ্রেডভিম ভেঙ্গে পড়ে প্রাণহানীসহ বড় ধরনের দূর্ঘটনা স্বীকার হতে পারে প্রায় দেড় শতাধিক কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী ।

১৯৯৬ সালে স্থানীয় প্রকৗশলী অধিদপ্তরের অধীনে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ৪ কক্ষ বিশিষ্ট একতলা একটি ভবণ নির্মাণ করা হয় বিদ্যালয়টিতে। গত কয়েক বছর যাবৎ ভবনটির তিনটি কক্ষে গ্রেডভিম ও দেওয়ালে ফাটল সৃষ্টি হয়।

ফলে বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে ভরে যায় শ্রেণি কক্ষ। এতে পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটে। এমতাবস্থায় যে কোনো সময় বিদ্যালয়ের দেয়াল বা ছাদ ধসে পড়ে বড় দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে আশংকা করছেন শিক্ষকরা।

এ দিকে গত কয়েক বছর ধরে নতুন ভবনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করলেও এখনও কোন ভবন পায়নি বিদ্যালয়টি।
অপরদিকে বিদ্যালয়ের জন্যে একটি নতুন ভবন চেয়ে স্থানীয় এমপি মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এর বরাবর দাবি জানিয়েছেন বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

গন্ধর্ব্যপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, শ্রেণি কক্ষের গ্রেডভিমের ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া বিদ্যালয়ের সামনে ও পেঁছনের দেওয়ালে দেখা যায় একাধিক ফাটল।

৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছাইমম, ফাহাদ হোসেন, ৫ম শ্রেণির আফছার, মাহমুদা ও আয়েশা আক্তার এ প্রতিবেদককে বলেন, বর্ষাকাল আসলে বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে বিভিন্ন স্থানে পানি পড়ে। এছাড়া বর্তমানে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষে চাদে ও দেওয়ালে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। যেকোন মুর্হুতে দেওয়াল ধসে পড়তে পারে। এই ঝুকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান করতে আমাদের ভয় হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সেলিনা আক্তার বলেন, বিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৪০ জন শিক্ষার্থী ও ৫ জন শিক্ষক রয়েছেন। নতুন ভবণের ব্যাপারে গত কয়েক বছর দরে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে বিদ্যালয়ের গ্রেডভিম ও দেওয়াল ফাটলের বিষয়ে জানানো হলেও আমরা এ পর্যন্ত বিদ্যালয়ে নতুন করে কোন ভবন পাই নাই।

গত বর্ষামৌসুমে বৃষ্টির পানি পড়ে শ্রেণি কক্ষে বেঞ্চসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে যায়। অচিরে যদি নতুন একটি ভবন না পাওয়া যায় তাহলে চলমান বর্ষামৌসুমে বিদ্যালয়ে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে ব্যাপক সমস্যা হবে।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ও ইউপি সদস্য ফিরোজ আলম হীরা জানান, বিদ্যালয়ের ভবনটি ঝরাঝীর্ণ হওয়ায় বর্তমানে পাঠদান ঝুকিপূর্ণ। যেকোন সময় দেওয়াল ধসে ও গ্রেডভিম ভেঙ্গে প্রাণহানিসহ বড় ধরনের দূর্ঘটনা শিকার হতে পারে কোমলমতি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।

আমরা ইতিমধ্যে কয়েকবার উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরসহ স্থানীয় সাংসদ মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম স্যারের বরাবর লিখিত আবেদন করেছি, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন সাড়া পাওয়া য়ায়নি।

তাই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুকি নিয়ে পাঠদানের বিষয় মাথায় রেখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট নতুন ভবনের কার্যক্রম গ্রহন করার দাবি জানাচ্ছি।

প্রতিবেদক : জহিরুল ইসলাম জয়

Leave a Reply