হাজীগঞ্জে এক ব্যবসায়ীর নির্ভেজাল মুক্ত ক্রয়কৃত সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলে নিতে টালবাহানা করে আসছে প্রবাসী আনোয়ার হোসেন। তার সাথে যুক্ত হয়ে স্থানীয় তৈয়ব আলী মিজি মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা ব্যবসায়ী বেলাল হোসেনের সম্পত্তি তাদের দখলে নেওয়ার জন্য বেশ কয়েকবার টিনশেড ঘর ভেঙ্গে ফেলে। প্রবাসী আনোয়ার হোসেন ব্যবসায়ী মো. বেলাল হোসেনের ১ শতাংশ সম্পত্তি রাতের আঁধারে দেওয়াল নির্মান করে তার দখলে নিয়ে নেন। ঘটনাটি হাজীগঞ্জ উপজেলার কালচোঁ দক্ষিন ইউনিয়নের রামপুর বেপারী বাড়িতে ঘটেছে।
ব্যবসায়ী বেলাল হোসেন বলেন, ২০১১ সালের ১২ অক্টোবর এবং ২০২২ সালের ২৬ জুন রামপুর মৌজার বিএস ৪৯৬ খতিয়ানের ৯৩৪ দাগের ১২ শতাংশ সম্পত্তি অন্দরে মৃত প্রভাস সাহার ছেলে প্রান্ত সাহার থেকে ২ শতাংশ সম্পত্তি ক্রয় করেন। একই (২০২২ সালের) বছরের মৃত সুবাস সাহার ছেলে শ্রী প্রিয়লাল সাহার কাছ হতে বিএস ৩২৯নং খতিয়ানের ২৭ শতাংশ সম্পত্তির অন্দরে ১ শতাংশ সম্পত্তি ক্রয় করেন।
ব্যবসায়ী বেলাল হোসেনের সম্পত্তির উপর টিনশেড ঘর নির্মান করেন। পরে ওই নির্মিত ঘরটি প্রবাসী আনোয়ার হোসেন রাতের আঁধারে ভাড়াটিয়া লোকবল নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে এবং বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে যায়। পরে অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন পুনরায় ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী বেলাল হোসেনের ১ শতাংশ সম্পত্তি উপর জোরপূর্বক দেওয়াল নির্মান করে দখলে নিয়ে নেন। এ ঘটনায় বেলাল হোসেন বাদী হয়ে প্রবাসী আনোয়ার হোসেনের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানাযায়।
ব্যবসায়ী বেলাল হোসেন বলেন, প্রবাসী আনোয়ার হোসেনের মত স্থানীয় তৈয়ব আলী গংও আমার ৪৪ পয়েন্ট সম্পত্তি তার দখলে রেখেছেন। তার থেকে সম্পত্তি নিতে চাইলে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধমকি দেন।
আমার খরিদকৃত সম্পত্তি নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা স্বপন আনোয়ারকে কয়েকবার নোটিশ করার পর অবশেষে চেয়ারম্যান কার্যালয়ে তিনি হাজির হন। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান ও স্থানীয় শালিসদারদের সিদ্ধান্ত ক্রমে আমি ও আনোয়ার রায়ের সিদ্ধান্ত মেনে নেই। তাদের সিদ্ধান্তনুযায়ী ৩ লাখ টাকা দেওয়া হয়। আনোয়ার এর বিনিময়ে আমাকে ১ শতাংশ সম্পত্তি দলিল করে দিবে। ওই সম্পত্তির উপর দিয়ে উভয়েই রাস্তা হিসেবে চলাচল করবে। কিন্ত আনোয়ার সিদ্ধান্তটি টালবাহানা করে সে কাউকে কিছু না বলেই প্রবাসে চলে যায়।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় মোজাম্মেল হোসেন, মনির হোসেন ও শেফায়েত উল্ল্যা বলেন, আমরা স্থানীয় অথচ দূরবর্তী স্থান থেকে আনোয়ার হোসেন এখানে এসে কিছু ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে জবরদখল করার চেষ্টা করছে। এ অন্যায়কারী আনোয়ারকে বিচারের আওতায় আনার জোরদাবী জানাই।
প্রান্ত সাহার মা সুবাসী রানী সাহা বলেন, আমরা বেলাল হোসেনের কাছে দুই শতাংশ জমি বিক্রি করেছি। সেই জায়গার উপর ঘর তুলতে গেলে আনোয়ার হোসেন গং একে একে দুইবার ঘর ভেঙ্গে দেয় যা অত্যান্ত দুঃখজনক।
ইউপি সদস্য আবুল কালাম মজুমদার বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা চেয়ারম্যান কার্যালয়ে বসে এক প্রকার রায় ঘোষণা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে আনোয়ার হোসেন রায় না মেনে বিদেশ চলে যায়।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. গোলাম মোস্তফা স্বপন বলেন, উভয় শালিসদারের উপস্তিতিতে বেলাল হোসেন আমার কাছে ৩ লক্ষ টাকা জমা দেয়। পরবর্তীতে প্রবাসী আনোয়ার হোসেন রায় না মেনে বিদেশ চলে যায়। এখন শুনতেছি সে বিদেশ থেকে টালবাহানা শুরু করছে।
প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়,১৭ আগস্ট ২০২২
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur