চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এক বৃদ্ধের টংয়ের দোকানে বিদ্যুৎ সংযোগের মিটার থাকলেও জ্বলছেনা কোন আলো। বিদ্যুতের আলো বা ফ্যানের বাতাস টাকার অভাবে ভাগ্যে জোটে না। মিটার চার্জ দিতে হিমসিম খেতে হয়। অথচ প্রতিমাসে গুনতে হচ্ছে মিটার চার্জ ৭২ থেকে ৮৪ টাকা। ক্ষুদ্র এ পান সুপারির দোকানে প্রতিদিন ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা বিক্রি করে কোন রকম জীবিকা নির্ভর করে আসছেন বৃদ্ধ।
বিদ্যুতের মিটার থাকলেও সন্ধ্যা হলে জ্বলে হারিকেনের নিভু নিভু আলো। ক্ষুদ্র পানের দোকানে প্রায় চারপাশ খোলা তার মাঝে রয়েছে বিদ্যুতের মিটার অথচ একটা লাইটও ব্যবহার করেনা এ বৃদ্ধ।
এমন বাস্তব চিত্র দেখা যায়, ২১ এপ্রিল রবিবার শেষ বিকালে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের রাধাসার স্বর্ণা এলাকায়। ৭০ বছরের বৃদ্ধ ইসমাইল হোসেন সড়কের পাশে টং দোকানে পান সুপারির বিক্রি করে জীবিকা নির্ভর করে আসছেন প্রায় দুই যুগের উপরে। পরিবারের সদস্য সংখ্যা স্ত্রীসহ ৬ জন। প্রতিদিন সকাল বিকাল পান সুপারি বিক্রি করে সংসারের সহায়ক ভূমিকা এখনো পালন করে আসছে। সংসারের টানাটানির গ্লানি এ বৃদ্ধ বয়সেও টেনে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
স্থানীয় ক্রেতা সফিকুর রহমান বলেন, আমাদের গ্রামে পান সুপারি তার কাছ থেকে পাই। বাহিরের ক্রেতা না আসায় তিনি একবার পান উঠালে সপ্তাহের উপরে লাগে বিক্রি করতে।
এ বিষয়ে বৃদ্ধ পানের দোকান্দার ইসমাইল হোসেন বলেন, আমি যে দোকানে থাকতাম তা ঝড়ে পড়ে যায়। আমি পরে কোনরকম মাথার উপরে চালা দিয়ে এ টং দোকান দিয়েছি। যে কারনে মিটার আমার এখানে পড়ে আছে। পূর্বের বিল বকেয়া থাকায় সংযোগ বিচ্ছিন্নের আবেদন করিনি। আমি সকাল বিকাল দোকানে আসি। টং দোকানের চারপাশ খোলা থাকে যে কারনে লাইট ফ্যান নাই। সন্ধ্যার পরে এক ঘন্টা থাকি তখন হারিকেনের আলো জ্বালাই।
প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ২১ এপ্রিল ২০২৪
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur