চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলায় এক দিনের মধ্যে স্বামী বদলের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় ওই এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
চাঞ্চল্যসৃষ্টিকারী গৃহবধূ হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন মকিমাবাদ ৪নং ওয়ার্ড এলাকার মৃত জিন্নাত আলী মজুমদারের কন্যা নারগিস বেগম।
চল্লিশ বছর বয়সী এ গৃহবধূর প্রথম বিয়ে হয় কচুয়া উপজেলায়। সেখানে বছরখানেক পূর্বে ওই সংসারে দু’ সন্তান রেখে স্বামী মারা যায়।
বর্তমানে এই গৃহবধু নারগিস বেগমের তৃতীয় সংসার চলছে।
গত ২২ ডিসেম্বর উপজেলাধীন বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের নোয়াদ্দা গ্রামের আবুল কাসেমের সাথে এক লাখ টাকা মোহরানা ধার্য করে বিয়ে হয়।
বিয়ের পরদিন বুধবার বিকালে নারগিস বেগম তার স্বামী আবুল কাশেমকে তালাক দেয়।
পরে একই সময় পৌর এলাকার রান্ধুনীমুড়া গ্রামের আলী হোসেনের সাথে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার কাজ শেষ করে।
বর্তমানে নারগিস বেগম তৃতীয় স্বামী আলী হোসেনের সংসার করছেন। আর এ নতুন দম্পতিকে দেখতে উৎস্যুক জনতা ভিড় জমাতে দেখা গেছে।
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে স্বামী বদল প্রসঙ্গে নারগিস বেগম বলেন, ‘ আবুল কাশেম আমাকে জোর করে বিয়ে করেছে। পরে আলী হোসেন সবকিছু জেনে আমাকে বিয়ে করেন। নতুন বর আলী হোসেন (৫০) বলেন, আমার স্ত্রী মারা গেছেন। তাই নারগিসকে বিয়ে করেছি। আবুল কাশেমের সাথে বিয়ের আগে আমিও বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে জোর করে কাশেম বিয়ে করেছে। তবে রাখতে পারেনি।’
এদিকে আবুল কাশেম (৪৫) বলেন, ‘আমারও স্ত্রী মারা গেছে। তাই বিয়ে করেছিলাম। অথচ একদিন না যেতেই আমাকে তালাক দিয়ে দিলো।’
নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ১২:০৫ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০১৫, মঙ্গলবার
এমআরআর