হাজীগঞ্জে বসতঘরে ঢুকে মা মেয়ের ওপর অতর্কিত হামলা

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় বসতঘরে ঢুকে দুই মেয়ে ও বৃদ্ধা মায়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে বখাটেরা। ট্রিপল নাইনে কল দিয়ে পুলিশী সহযোগিতায় প্রাণে রক্ষা পেলেও হাসপাতালে নেয়ার পথে দেবপুর এলাকায় পুনরায় বাঁধা দেয়ারও অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

বর্তমানে গুরুতর আহত বিলকিস বেগম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ২৬ ফেব্রুয়ারী সোমবার দুপুরে ওই উপজেলার উত্তর শ্রীপুর গ্রামের হাজী বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। 

আহতরা হলেন, উত্তর শ্রীপুর গ্রামের হাজী বাড়ির মোঃ গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী বিলকিস বেগম (৪২) মেয়ে ফারজানা বেগম (২৬), রেদওয়ান হোসেন (১৯) ও ৯ম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে সাদিয়া আক্তার (১৬)।  

আহতরা জানায়, ঘটনার দু,দিন আগে একই বাড়ির খালেক হাজীর মেয়ে শিউলী আক্তারের বিয়ের বিষয়ে ছেলে বাড়ির লোকজন খোঁজ খবর নিতে তাদের বাড়িতে আসেন। এতে শিউলী আক্তারের পরিবারের সন্দেহ হয় যে শিউলির দুই তিনটি বিয়ে হয়েছে বলে আগত মেহমানদের কাছে এমন বদনাম করেছেন আহতরা। এই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটনার আগের দিন খালেক হাজীর মেয়ে রোজিনা বেগম, শিল্পী বেগম, শিউলী আক্তার, তাদের ভাবি রূপা বেগম এবং রোজিনার ছেলে রিফাতসহ তাদের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়ে একই ভাবে তাদের ওপর প্রথম দিন হামলা করেন অভিযুক্তরা। তাদের এমন পারিবারিক বিষয় নিয়ে শিউলীর পরিবারের লোকজন একের পর এক তাদের গাল মন্দ এবং তাদের বসত বাড়িতে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেন। ঘটনার দিন বিকেলে একই ভাবে তারা বিভিন্ন কথাবার্তা এবং গাল মন্দ করে আহতদের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। এক পর্যায় শিউলীর পরিবার তার বোনের ছেলেকে ছাত্রলীগ নেতা রিফাতকে কল করেন।

 আহতদের অভিযোগ ওই কলের পরেই শিউলের বোনের ছেলে রিফাত দুই গাড়িতে করে তার দলবল নিয়ে এসে আহত বিলকিস বেগমের বসতঘরে ঢুকে তাদের মা মেয়েদের ওপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে বসতঘর ভাংচুর করেন এবং তাদের গলায় ও কানে থাকা স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। হামলার সময় ভুক্তভোগীরা অসহায় হয়ে ট্রিপল নাইনে কল দিলে কিছুক্ষণ পরই হাজীগঞ্জ থানার এস আই খোরশেদ আলম ঘটনাস্থলে গিয়ে বহিরাগত হামলা কারীদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ ইয়াসিন শেখ বলেন, যারা আহত হয়েছেন ঘটনার সময় তারা আমাকে কল দিয়েছিলো। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে অন্য এলাকার ছেলে পেলে দেখতে পেয়েছি। পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে তাদেরকে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন এবং আমি ও পুলিশরা বলেছি তারা আগে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে। 

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার এস আই মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি।  সেখানে তারা নিজেরা নিজেরাই মারামারি করেছেন। মারামারির খবর পেয়ে তাদের অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন সেখানে গিয়েছেন, তারা বহিরাগত নয়। আমি বলেছি আগে তারা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে। 

এ বিষয়ে শিউলী আক্তার বলেন, তারা আমাদের সাথে ঝগড়া করার পর আমার বোনের ছেলে রিফাতকে ফোন দিলে সে তার ৭/৮ জন বন্ধু বান্ধব নিয়ে এসে আমাদের এখানেই থেকেছেন।  তারা তাদের উপর কোন হামলা চালায়নি। 

প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি,২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

Share