Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ / হাজীগঞ্জে প্রেমিক-প্রেমিকাকে মধ্যযুগীয় নির্যাতন
হাজীগঞ্জে প্রেমিক-প্রেমিকাকে মধ্যযুগীয় নির্যাতন

হাজীগঞ্জে প্রেমিক-প্রেমিকাকে মধ্যযুগীয় নির্যাতন

‘প্রেম মানে না জাত কূল, প্রেম মানে না বাধা’। সেই পূর্ব যুগ থেকে শুরু করে বর্তমান সভ্যতায় এর আবেগ ব্যতিক্রম দেখা যায়নি। তিল তিল করে গড়ে উঠা ইঞ্চি ইঞ্চি ভালোবাসা যখন গজে পরিণত হতে চলেছে ঠিক সেই সময় দু’পরিবারের নিষ্ঠুরতার কাছে হার মানতে হচ্ছে অনেকেরই। তেমনি এক অবুঝ প্রেমের মোহে পড়ে প্রেমিক-প্রেমিকা পরিবারের হাতে মধ্যযুগীয় নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া যায় হাজীগঞ্জ উপজেলার ৫নং সদর ইউনিয়নের ভাউড়া গ্রামে।

জানা যায়, একই গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির আব্দুল হাকিমের ছেলে নবীর হোসেন (২০)ও পার্শ্ববর্তী হাজী বাড়ির আজিজউল্যার স্কুলপড়–য়া ছাত্রী (১৫) এর সাথে গত ৪ বছর যাবত প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। কিছ দিন ধরে তাদের সম্পর্ক উভয় পরিবারে জানাজানি হলে শুরু হয় ঝগড়া, দেন দরবার; এমনকি মামলা।

গত ১ নভেম্বর রোববার সকালে প্রেমিক নবীরকে প্রেমিকার ভাই মহিউদ্দিন ও ছোট ভাইসহ ৪/৫ জন মিলে তাদের বাড়ির সামনে একা পেয়ে মারধর ও রক্তাক্ত যখম করে ফেলে যায়। এমন নিষ্ঠুর নির্যাতনের কথা শুনে প্রেমিকা এগিয়ে আসলে তাকেও তার নিষ্ঠুর ভাইয়েরা মারধর করে ঘরে বন্দী করে রাখে।

ওইদিন রাত ৯টার দিকে প্রেমিকা পালিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে উঠে। সেখানে প্রেমিকের পরিবার অসহায় প্রেমিকাকে পাত্তা না দিয়ে উল্টো তার ওপর ছড়াও হয়েছে বলে জানা যায়।

ঘটনা জানাজানি হলে ওইদিন রাতে মেয়ের বাবা আজিজউল্যা হাজীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পরে পুলিশ প্রেমিকের বাড়ি থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার বাবার জিম্মায় প্রদান করে। ওইদিন রাত থেকে পরদিন সোমবার দুপুর পর্যন্ত একা একটি রুমে মেয়েটিকে তার বাবা-মা আটক রাখে। ওই বাসা থেকে সোমবার দুপুরে মেয়েটি আবারো পালিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে উঠে।

এ বিষয়ে উভয় পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘটনাটি নিয়ে তারা দু’ এক দিনের মধ্যেই বসবে।

তবে ছেলের পরিবারের অভিযোগ, ছেলেকে মেয়ের বাবা ও ভাইয়েরা নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে।

মেয়ের পরিবারের অভিযোগ, মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে অন্য কোথায় আটক করে রেখেছে।

এদিকে এমন নিষ্ঠুর নির্যাতনের দৃশ্য দেখতে দু’বাড়িতেই এলাকার মানুষের উপচে পড়া ভীড় দেখা গেছে।

জহিরুল ইসলাম জয়

 

|| আপডেট: ০৮:২৫ পিএম,০২ নভেম্বর ২০১৫, সোমবার

এমআরআর