হাজীগঞ্জে প্রায় এক যুগ পর খাল দখলমুক্ত করলেন ইউএনও

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে কৃষকদের দাবির মুখে পড়ে প্রায় এক যুগ পর সরকারি খাল দখলমুক্ত করতে অভিযান পরিচালনা করেন ইউএনও রাশেদুল ইসলাম। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকার কারণে জলাবদ্ধতায় হুমকির মুখের থাকা প্রায় এক হজার হেক্টর কৃষি জমি রক্ষায় সরকারি খাল দখলমুক্ত করতে অভিযান চালায় প্রশাসন।

৬ জুন সোমবার হাজীগঞ্জ উপজেলার ১০নং গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পাঁচেই গ্রামে ব্রীজের উত্তর পাশে খালটি উদ্ধারে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

ইউনিয়নের সেন্দ্রা-পালিশারা-কাশিমপুর সড়কের পাঁচৈই ব্রীজের উত্তর পাশে সরকারি খাল দখল করে  মার্কেট নির্মাণ করে স্থানীয় মাইজের বাড়ির মৃত ওমর আলীর ছেলে ভূমি দস্যু হাফেজ হোসেন।
২৫২নং পাঁচৈই মৌজার ৮৯৭নং দাগে ক-তফসিল ভূক্ত হালটের খালটি দখল করে মার্কেট নির্মাণ করায় মাঠের পানি নিষ্কাশনের যে স্থানটি ছিলও ভরাট করে হাফেজ হোসেন। ব্রীজের নিচ দিয়ে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা না থাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দায়ের করে স্থানীয় কৃষকরা।

অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম, সহকারি কমিশনার ভূমি মো. মেহেদী হাসান মানিক স্থানটি পরিদর্শন করে। এ নিয়ে হাফেজ হোসেনকে  সরকারি খাল দখল মুক্ত করার জন্য বলা হলেও এনিয়ে কোন সাঁড়া দেয়নি।

কৃষি জমি বাঁচাতে সরকারি হালটে থাকা খালটি দখলমুক্ত করতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলমান বলেন, পর্যায়ক্রমে সবগুলো জনগুরুত্বপূর্ণ খাল দখল মুক্ত করা হবে। খাল দখল করায় কৃষি জমিগুলোতে থেকে যথা সময়ে বর্ষার মৌসুমে জমে থাকা পানি সঠিক সময়ে বের হতে পারে না। এতে কৃষি জমিগুলো পতিত হয়ে পড়ছে। কোনভাবেই কৃষি জমির ক্ষতি করা যাবে না। পরবর্তীতে পরিকল্পনা নিয়ে পানি নিষ্কাশনের খালগুলো দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

উদ্বার অভিযানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে সহযোগিতা করেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান মানিক, উপজেলা সার্ভেয়ার কাজল ইসলামসহ পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।

এদিকে প্রায় এক যুগ পর খাল দখলমুক্ত হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম, জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান হাজী জসিমউদ্দিন ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির হোসেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন স্থানীয় কৃষকরা।

প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ৬ জুন ২০২২

Share