চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এক গৃহবধূর দু’স্বামী নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এমন ঘটনাটি সাধারণ লোকদের মাঝে চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হলেও বিপাকে পড়েছেন প্রথম স্বামী প্রবাসী আবু বকর বেপারী।
বর্তমানে গৃহবধূর প্রথম স্বামী প্রবাসে জীবন-যাপন করছে। হাজীগঞ্জ পৌরসভাস্থ টোরাগড়(হাই স্কুল সংলগ্ন)সাজেদা মঞ্জিলে এ ঘটনা ঘটে।
তবে এরই মধ্যে ওই গৃহবধূ তার দ্বিতীয় স্বামীর বিরুদ্ধে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগের আলোকে দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা গৃহবধূর দ্বিতীয় স্বামীর সাথে রফাদফা করে দিয়েছেন বলেও একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। শুধু তাই নয় এক স্বামীকে তালাক না দিয়ে অন্য ব্যক্তিকে নিয়ে ঘর সংসারের ঘটনা এলাকার তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, কচুয়া উপজেলার ৮নং কাদলা ইউনিয়নের কাদলা গ্রামের বেপারী বাড়ির জাহাঙ্গীর বেপারীর ছেলে প্রবাসী আবু বকর বেপারীর সাথে হাজীগঞ্জ উপজেলার ৮নং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের হাড়িয়াইন গ্রামের মিজি বাড়ির আব্দুল মমিনের মেয়ে রিনা বেগমের ২০০৮ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের পর পরই তাদের সংসার ভালোই চলছিলো। এরপর তাদের কোল জুড়ে দু’টি ফুট ফুটে কন্যা সন্তান আসে।
বিভিন্ন পারিপার্শ্বিকতার অযুহাত দেখিয়ে রিনা তার স্বামী আবু বকরকে হাজীগঞ্জ বাজারে বাসা ভাড়া নিতে চাপ-প্রয়োগ করে।
পরিবারের সুখের কথা চিন্তা করে প্রবাসী স্বামী আবু বকর বাসা ভাড়া নেন হাজীগঞ্জে। এরই মধ্যে রিনার সাথে পরিচয় ঘটে পৌর এলাকার আলীগঞ্জ কংগাইশ গ্রামের রতন নামক এক যুবকের।
একপর্যায়ে তাদের দু’জনের সম্পর্ক গভীরে চলে যায়। তবে রিনা স্থানীয় লোকদের কাছে দাবি করেছেন রতনের সন্তান তার গর্ভে রয়েছে। কিন্ত সে রতনের খোঁজ কিছুদিন ধরে পায়নি। পরে রিনা তার নিজস্ব কিছু লোকের মাধ্যমে রতনের সন্ধান পান। বাসায় নিয়ে এসে তাকে আটকে রাখলে স্থানীয় জনতা বিষয়টি জানতে পারে।
পরে স্থানীয় লোকজন তার বাসার সামনে অবস্থান নেয়। তাদের এমন ঘটনায় স্থানীয় লোকদের মাঝে চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই)মো. শাহেদ হোসাইন সর্ঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে তিনি যাওয়ার পূর্বেই রিনা তার দাবিকৃত দ্বিতীয় স্বামীকে ভাগিয়ে দেন। এছাড়াও রিনা বেগমের বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে এই পর্যন্ত ২০/২৫টি ভাড়া বাসা পরিবর্তন করতে হয়েছে বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন।
বর্তমানে রিনার প্রবাসী প্রথম স্বামী আবু বকর এমন ঘটনায় নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। কারণ তার প্রবাস জীবনে যা কিছু অর্জিত করেছেন সবই তার স্ত্রীর নামে হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো. শাহেদ হোসাইন বলেন, ‘ঘটনার দিন আমি সর্ঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে রিনার ভাড়া বাসা যাই। সেখানে গিয়ে তার দাবিকৃত স্বামী রতনকে পাইনি। সে রতনকে আমি যাওয়ার পূর্বেই জানালা দিয়ে ভাগিয়ে দেয়। পড়ে থাকে থানায় ডেকে এনে বিস্তারিত জেনেছি।’
প্রতিবেদক- জহিরুল ইসলাম জয়
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৯:০৫ পিএম, ১১ মার্চ ২০১৮, রোববার
ডিএইচ