চাঁদপুর হাজীগঞ্জে প্রতিপক্ষ জামাল হোসেন গংয়ের অতর্কিত হামলা ৭ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, রিনা বেগম, শাহনাজ বেগম, জাহানারা বেগম, মাহমুদুল হাসান, পাখি আক্তার, সাহেলা বেগমসহ ৭ জন। এদের মধ্যে ৩ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আর অন্যান্যরা হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনাটি বৃহস্পতিবার(৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় উপজেলার ৩নং কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নের চিলাচোঁ গ্রামের প্রধানীয়া বাড়িতে ঘটেছে।
জানা যায়, ওই বাড়ির শাহজান, নজরুল ও সেলিমের খরিদা সম্পত্তির উপর একই বাড়ির জামাল হোসেন গং জোরপূর্বক বসতঘর নির্মাণ করেন। ওই সম্পত্তির যৌথ মালিক শাহজান, নজরুল ও সেলিম বাঁধা প্রদান করেন। ওই সময় জামাল, জাকির হোসেন, শাহআলম, এমদাদ হোসেন, রিনা বেগমসহ তাঁর একটি সঙ্গবদ্ধ দল তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের হামলা নারী-পুরুষসহ ৭ জন আহত হন।
আহতদের মধ্যে থেকে ৪জন গুরুতর জখম হন। পরে স্থানীয় লোকজন হামলাকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করে গুরুতর জখম হওয়া ব্যক্তিদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করনো হয়।
এছাড়াও গত ৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ২টায় চিলাচোঁ মাঠ থেকে শাহজানের ১৫ শতাংশ সম্পত্তির উপর রোপন করায় কাঁচা সরিষা কেটে নিয়ে যায় জামাল হোসেন। এই কাঁচা সরিষা জামাল হোসেন পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন ৪নং কালচোঁ দক্ষিন ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের ভূইয়া বাড়িতে তাঁর বোন জামাই শাহআলমের বসত বাড়িতে রাখেন। ওই ঘটনায় শাহজাহানসহ তাঁর পরিবার কালচোঁ দক্ষিন ইউপি চেয়ারম্যান এর নিকট অভিযোগ দায়ের করেন।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি এই ঘটনার আলোকে ইউপি কার্যালয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে সালিশী বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও অভিযুক্ত অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা উপস্থিত না হয়ে চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা স্বপনের কাছ থেকে আরেকটি সময় চেয়ে নেন।
যা আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি ধার্য্য করা হয়। কিন্ত বৈঠক হওয়ার পূর্বেই জামাল হোসেন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে দাবি করেছেন ভূক্তভোগী পরিবার।
ভূক্তভোগী পরিবারের শাহজাহান বলেন, ২৯৮নং দাগের বিএস ৫৮৪নং খতিয়ানের ১৫শতাংশ সম্পত্তি তাঁরা মৃত কামিজ উদ্দিন পন্ডিতের ছেলে ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান এর কাছ থেকে ২০১৮ সালে ক্রয় করেন। জামাল হোসেন আব্দুল মান্নানকে বিবাদী করে ওই বছরের নভেম্বর মাসে হাজীগঞ্জ থানা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের আলোকে থানার এস আই খলিলুর রহমান তাদের দু’পক্ষকে নিয়ে সালিশী বৈঠকে বসেন।
সেই বৈঠকে বৃহস্পতিবার জামাল যে সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করতে চেয়েছিলেন এটি সালিশীর বৈঠকের মাধ্যমে গত বছরের ৪ নভেম্বর হাজীগঞ্জ থানায় মিমাংশা হয়। সালিশী বৈঠকের সিদ্ধান্তনুযায়ী তাদের খরিদকৃত সম্পত্তি নিয়ে কাহারো কোন ধরনের আপত্তি নেই।
এখন জামাল হোসেন পরিকল্পিক ভাবে আমাদের ফাঁসানোর জন্য তাদের বসতঘর তাঁরা নিজেরা ভাংচুর করেছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ভূক্তভোগী শাহজাহান।
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত জামাল হোসেনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
স্টাফ করেসপন্ডেট
৮ ফেব্রুয়ারি,২০১৯