চাঁদপুর জেলার ব্যস্তময় শহর হচ্ছে হাজীগঞ্জ পৌরসভা। যেখানে ব্যবসা বাণিজ্য, প্লট-প্লাট ছাড়া আশপাশে সবুজ গাছপালার তেমন কোন দৃশ্য চোঁখে পড়ে না।
সেখানে পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ড আনোয়ার হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে প্রবাসী আলহাজ্ব কাজী মো. বিল্লাল হোসেন প্রায় দেড় একর প্লট জমিতে ইমারত নির্মানের চিন্তা না করে মৌসুমী বিভিন্ন প্রজাতির শাক-সবজির চাষাবাদসহ চার দিকে বৃক্ষের এক অভয়ারণ্য গড়ে তোলেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ২০১৫ সালে টোরাগড় কাজী বাড়ীর প্রবাসী বিল্লাল হোসেন বিশাল প্লট নিয়ে খামার বাড়ী গড়ে তোলেন। যেখানে প্রতিনিয়ত পাহারাদারসহ কয়েকজন দিনমুজুর নিয়োজিত কাজ করে আসছেন । প্রথমে প্লট আকারে জমি বিক্রি করার চিন্তা ভাবনা করলেও পরবর্তীতে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে বছর জুড়ে রবি শষ্যসহ মৌসুমী চাষাবাদ শুরু করেন প্রবাসী বিল্লাল হোসেন।
এর পাশাপাশি চার দিকে বিভিন্ন প্রজাতির সেগুন, মেহঘনী, বনজ, ফলজ ও ভেষজ প্রকৃতির গাছের চারা রোপন করেন। বর্তমানে এসব গাছের চারা মাঝারি আকৃতিতে ধারন করায় পৌর এলাকার মানুষ প্রকৃতির চোঁয়া পেতে এ স্থানে ভিড় জমাতে দেখা যায়।
প্রবাসী বিল্লাল হোসেনের এ উদ্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাজীগঞ্জ পৌর এলাকায় প্রাকৃতিক ভাবে নিঃশ্বাস নেওয়ার যে পরিমান গাছ-গাছালি থাকার কথা, সেখানে বরং দিন দিন গাছ-গাছালি কেটে সেখানে বসত বাড়ি তৈরি হচ্ছে। তা ভেবে আমি মূলত চার দিকে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ-গাছালি রোপন করেছি এবং বছর জুড়ে মৌসুমী শাক-সবজি উৎপাদন করে বিক্রি করতে পারছি। চিন্তাভাবনা রয়েছে এখানে পর্যটন এলাকা গড়ে তোলার।
এ সময় তিনি আরো বলেন, উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর ইচ্ছা করলে এখানে বিভিন্ন কৃষি প্রদর্শনী গড়ে তোলতে পারে, এ জন্য আমি তাদের সু-দৃষ্টি কামনা করি।
প্রতিবেদক : জহিরুল ইসলাম জয়, ১১ নভেম্বর ২০১৯
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur