হাজীগঞ্জে পানিতে সবজি চাষ করে লাভবান কৃষক হাবিব

জহিরুল ইসলাম জয় || আপডেট: ১০:৪৩ অপরাহ্ন, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫,  মঙ্গলবার

হাজীগঞ্জে বর্ষাকালে পানির ওপর সবজি চাষে সুফল বয়ে এনেছে কৃষক হাবিবুর রহমান। স্থানীয় উদ্যোক্তা স্বপন বাবুর পরামর্শে ও সহায়তায় পৌর এলাকার বলাখাল বাজারের পশ্চিম পাশে বিশাল জলাশয়ে এ সবজি চাষ করেন তিনি। তার নিজের জমি না থাকায় স্থানীয় কয়েক বিগা জমি বর্গা নিয়ে ভাসমান সবজি চাষ শুরু করেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বর্ষার মৌসুমে অবসর সময়ে পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া জমিতে কচুরিপানা দিয়ে তৈরিকৃত বেডে সবজি উৎপাদ করা হচ্ছে। বলাখালের স্থানীয় বাসিন্দা পৌর উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা স্বপন বাবু বাজারের পশ্চিম পাশে কচুরিপানায় ভর্তি বিশাল জলাশয়টি দেখে তাতে ভাসমান অবস্থায় কচুরিপানার স্তুপ করে বেড স্থাপনের পরামর্শ দেন, উত্তর বলাখাল হাজী বাড়ির মোতাহের হোসেনের ছেলে স্থানীয় বর্গাচাষী হাবিবুর রহমাকে। হাবিবুর রহমান স্বপন বাবুর সহায়তায় কুমড়া, লাউ, লালশাক, কলমি শাক, বরবটি দেশি শীম ও করলার বীজ বপন করেন। এতে মাসখানেক পরই সবজি বাজারজাতের উপযোগি হয়ে আসলে বাজারে তোলেন। বর্তমানে দৈনিক এক হাজার টাকার সবজি বিক্রয় করছেন বলে জানান কৃষক হাবিব। বর্ষার মৌসুমে শাকসবজির প্রচুর চাহিদা থাকায় বাজারে ভাল দাম পাওয়া যায়। প্রথম দিকে ৮টি বেড থাকলেও বর্তমানে ৯ টি বেড স্থাপন রয়েছে। হাবিবুর রহমান আরো বলেন, আগে বর্ষা আসলে অবসর সময় কাটাতে হত । এখন আর বর্ষার সময় বেকার হয়ে থাকতে হবে না। বারো মাস এ জমিতে সবজি চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবো।

পৌর উপ-সহকারি কৃষি কমকর্তা স্বপন বাবু বলেন, ত্রান ও দূযোগ ব্যবস্থাপনা ও কৃষি মন্ত্রনায়ের যৌথ উদ্যোগে আগাম সবজি চাষ প্রকল্পের আওতায় ভাসমান চাষ পদ্ধতি কৃষি ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারবে। তাই আমি নিজের এলাকায় এ জলাশয়টি দেখে ভাসমান সবজি চাষ পদ্ধতি গ্রহন করি। তবে পানি কমলেও কোন সমস্যায় পড়তে হবে না। কারণ যে কুমড়া, লাউ, করলা ও শীমের বীজ লাগানো হয়েছে। পানি চলে যাওয়ার পর বেড় জমিতে বসে পড়লে কুমড়া ও লাউ গাছের ডগা মাটির ওপর মেলে দেওয়া হবে। আর করলা ও শীম গাছের জন্য জমিতে মাচার ব্যবস্থা করা হবে তাতে ভাল ফলন পাবে এবং খুব সহজে বারো মাসই আয়ের পথ থাকবে। তিনি আরো বলেন পৌরসভার আরো কয়েকটি স্থানে ভাসমান পদ্ধতিতে চাষ করা হচ্ছে।

এমন পদ্ধতিতে উপজেলা কাচারি পুুকুর, বাকিলাসহ চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কের পাশে এ পদ্ধতিতে সবজি উৎপাদন করতে দেখা যায়। চাষীরা এখন এ পদ্ধতির উপর একমাত্র অবলম্বন করতে পারে তার জন্য প্রয়জনে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করবে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর।

 

চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫

Share