চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলাসহ জেলার সর্বত্র নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রায় ২ একর ভূমিতে পাওয়ার গ্রীড কোম্পানির অধীনে গড়ে উঠছে বিদ্যুতের সাব সেন্টার।
হাজীগঞ্জ পৌর ৭নং ওয়ার্ডের বদরপুর গ্রামে (হাজীগঞ্জ-কচুয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে) ভূমি অধিগ্রহণ করে ওই সাব সেন্টারের নির্মাণ কাজ এখনও চলমান রয়েছে।
গত ৫ মাস পূর্বে রোকন নামে এক সাব কন্ট্রাক্টর নিবির নির্মাণ আর্কিটেক্টস এন্ড ইঞ্জিনিয়ার্স কোম্পানির অধীনে কাজ করে প্রায় ৫০ জন শ্রমিকের ২ লক্ষ ২৬ হাজার টাকার বেশি দৈনিক মুজরীর টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ ওঠেছে।
বৃহস্পতিবার ও বুধবার শ্রমিকরা নির্মাণকাজের স্থলে জড়ো হয়ে উপস্থিত কন্ট্রেকটারের কাছে কাজের টাকা চায়।
শ্রমিকরা জানায়, খোরাকি (টিএডিএ) বাবদ ২০০ টাকা করে দেয়ার কথা থাকলেও তা নিয়মিত দেয়া হয়নি। এছাড়াও দৈনিক ৪০০ টাকা করে হাজিরা না দিয়েই লাপাত্তা ওই সাব কন্ট্রাক্টর। ৩ মাস পূর্বে শ্রমিকেরা তাদের নেতাদের (যাদের মাধ্যমে কাজ করেছে) এক জায়গায় জড়ো করলে নিবির নির্মাণ কোম্পানির হেড অব প্লানিং ইঞ্জি. ফারুক মাজহার রাজু ৩ মাস পর টাকা দিবে বলে ওয়াদা দেয়। সেটির ভিত্তিতে গত ৩ মাস তারা অপেক্ষা করেও কোন প্রকার সাড়া না পেয়ে বুধবার শেষ বিকেলে সাব সেন্টারে জড়ো হয়।
এই বিষয়ে কথা হয় নির্মাণ শ্রমিক সিরাজ ও জসীম সহ কয়েকজনের সাথে। তারা বলেন, আমাদের অনেকের বাবা নেই। পরিবারে একমাত্র উপার্জন ক্ষম ব্যক্তি আমরা। আমাদের দৈনিক মুজরীর টাকা আত্মসাতকারী রোকন ও প্ররোচনাকারী রাজুর উপযুক্ত বিচার চাই এবং আমাদের টাকা ফেরত চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনগণের সরকার। প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পে কাজ করে আমরা কেন টাকা পাবো না? আমরা এর সুষ্ঠু সমাধান চাই।
ওই সময় কথা হয় রাজুর সাথে। তিনি জানান, এটি প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প। তাই হুট করে চাইলেই পাওয়া যাবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, রোকনকে আমি হিসাব ক্লোজ করে পাঠিয়ে দিয়েছি।
এদিকে জানতে চাইলে তিনি আমার পক্ষে রোকনের দেনা শোধ করা সম্ভব নয় বলে তার নিজ কক্ষে দ্রুত প্রবেশ করে দরজা আটকে দেন।
ম্যানেজার (ইঞ্জিনিয়ার) বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, লরোকন পালিয়ে গিয়েছে। আরেক প্রশ্নের জবাবে রাজু জানায়, আমার সাথে রোকনের সাথে ডিড হয়েছে। সে কোন শ্রমিক দিয়ে কাজ করলো আর শ্রমিকের টাকা মেরে খেলো সেটা আমার দায় নয়। কেন দায় নয়?
প্রতিবেদক: মনিরুজ্জামান বাবলু
২৮ জুন ২০১৯