হাজীগঞ্জে পরপর দু’ খুনে সর্বত্র তোলপাড়

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে গত দুই দিনের মাথায় দু’খুনের ঘটনায় এলাকাসহ সর্বত্রে তোলপাড় চলছে। সে সাথে মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এসব খুনের পেছনে সম্পত্তিগত বিরোধকে মূখ্য মনে করছেন স্থানীয়রা।

খুনের ময়না তদন্ত রির্পোট পুলিশ এখন পর্যন্ত হাতে না পেলেও খুনের আলামত অনুযায়ী খুনীরা তাদের ঘরের মধ্যেই রয়েছেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা।

গেলো সোমবার (১৬ মে) উপজেলার ৫নং সদর ইউনিয়নের অলিপুর দাশ বাড়ীর ননী চন্দ্র দাশের ছেলে মাছ ব্যবসায়ী নিখিল চন্দ্র দাশের ডাকাতিয়া নদী থেকে পুলিশ গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। এর দুই দিন পরে বৃহস্পতিবার (১৯ মে) পৌর এলাকার খাটরা বিলওয়াই একটি ডোবা থেকে ক্ষত বিক্ষত মধ্য বয়সী গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করা হয়।

ওই মহিলার স্বামী হাজীগঞ্জ মধ্য বাজার হোমিও চিকিৎসক ডা.আবুল কাশেম।

রহস্যময় ওই হত্যায় ফেঁসে যেতে পারেন তার স্বামী। কেননা স্বামী ডা. আবুল কাশেম ওই দিন থানার অফিসার ইনচার্জ মো.শাহআলমকে দু’বার ফোন করে দু’রকম তথ্য দিয়েছেন। সেই দিন ডা.আবুল কাসেম স্ত্রী কিভাবে হত্যা হয়েছে এমন ছোট প্রশ্নের উওর সাংবাদিকদের সামনে দিতে গিয়েও গড়মিল করেছেন। তবে রহস্যজনক কারণে তিনিই আবার ওই হত্যা মামলা বাদী ।

এদিকে পরপর দুটি খুনে উপজেলা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এমন নির্মম ভাবে খুনগুলো নিজ এলাকায় হয়েছে যা দেখে এখানকার মানুষের মধ্যে ভয়ভীতি কাজ করে বেড়াচ্ছে।

এদিকে শুক্রবার অলিপুর গ্রামবাসী মৎস্য ব্যবসায়ী নিখিল চন্দ্র দাশের খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে। অসহায় হয়ে পড়েছে নিখিলের পরিবার। তাদের শুধু এখন একটাই আক্ষেপ খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চোঁখের সামনে দেখা।

পরবর্তী খুনের ঘটনার রহস্য বের করতে না পারলেও স্থানীয়রা মোবাস্বেরার স্বামী ডা. আবুল কাসেম বা তার পরিবারের সম্পক্তিগত বিরোধকে দায়ী করেন।

এসব খুনিদের শাস্তি কামনায় এলাকাবাসী প্রতিবাদ কর্মসূচি করার পরিকল্পনা করা যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো.শাহ আলম চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘দুটি খুনের ঘটনায় প্রায় কাছাকাছি সময়ের মধ্যে ঘটায় ময়না তদন্তের অপেক্ষায় আছি। এর বাহিরেও আমাদের তদন্ত চলছে, সন্দেহভাজন খুনিদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’

জহিরুল ইসলাম জয়, হাজীগঞ্জ করেসপন্ডেন্ট
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০:৫৫ পিএম, ২০ মে ২০১৬, শুক্রবার
ডিএইচ

Share