হাজীগঞ্জ রয়েল মার্কেটের নৈশ প্রহরী আলম চুরির অপবাদ সইতে না পেরে গলায় ছুরিকাঘাতে আত্মহত্যা করেছে। এদিকে আলমের পরিবারের দাবি তাকে ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনা নিহত আলমের স্ত্রী আলেয়া বেগম বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় (১৪সেপ্টেম্বর) বুধবার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন । যার মামলা নং ১২, তাং ১৪/০৯/২০১৬। ওই মামলায় ৪ জনকে আসামী করা হয়েছে ।
মার্কেটের প্রহরী আলম ঈদের দিন মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫ টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুত্যু বরণ করে। সে হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার মকিমাবাদ গ্রামের আনচার আলীর পুত্র।
মার্কেট কর্তৃপক্ষের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের সময় আলম চুরির টাকা দিতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেচে নিয়েছে। সিটি ব্যাংকের এটিএম বুথের কাছে গিয়ে গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করে সিটি ব্যাংকের প্রহরী দেখে চিৎকার দেয়।
আলম বাথ রুমে যাওয়ার কথা বলে মার্কেটের সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে নিজের গলায় নিজেই চুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
রুমী বলেন, ‘বিচারে খালুকে তাৎক্ষণিক খোয়া যাওয়া টাকা ফেরত দিতে বলা হয়। তখন খালাম্মা ও খালু মিলে বলেছে ছয় মাসের মধ্যে জায়গা বিক্রি করে টাকা দিয়ে দিবে। কিন্তু বিচারে সবাই পুলিশের ভয় দেখায়। তাৎক্ষণিক পুলিশকেও খবর দেয়।’
বিশ্বস্থ সূত্রে , ‘কয়েক দিন পূর্বে মার্কেটের কয়েক দোকানে চুরি হয়। তখন আলমকে চাকরি ছেড়ে দিতে বলা হয়েছিল। আলমের স্ত্রী এসে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আলমের চাকরি বহাল করে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, হাজীগঞ্জ রয়েল মার্কেটের জোনাকি শপিং সেন্টারে রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর ) রাতে চুরির ঘটনা ঘটে। মার্কেটের ভেতরে পাহারাদার থাকা স্বত্ত্বেও দোকানের তালা ভেঙ্গে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
সকালে দোকান খুলে এসে দোকানের মালিক মনা দেখে দোকানের তালা ভাঙ্গা। তখনই তারা মার্কেটের পাহারাদারকে ডাক দেয়।
দোকানের মালিক মনা বলেন, ‘সন্দেহ থেকে প্রহরী আলমকে মার্কেটের ভেতরে থাকতে বলা হয়। সে মার্কেট থেকে পালিয়ে গেলে মার্কেটের অন্যান্য দোকানদারদেরও তার প্রতি চুরির সন্দেহ বাড়ে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (১১সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় মার্কেটের পাহারাদার ও তার স্ত্রীকে রয়েল মার্কেটের মালিক আলহাজ্ব আবদুল লতিফ মিয়া বিভিন্ন মাধ্যমে খবর দিয়ে মার্কেটে আনে। সেখানে মার্কেটের সকল দোকানদার মালিকগণের উপস্থিতিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।’
হাজীগঞ্জ থানার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন বলেন, ‘এক সাংবাদিক পুলিশকে খবর দেয়। তখন আমি উপ-পরিদর্শক শাহজাহান ভূঁইয়াকে পাঠাই। সালিশদারগণ দায়িত্ব নিয়ে পুলিশকে বিদায় করে দেয়। তিনি বলেন, প্রহরী আলমের গলায় ছুরিকাঘাতের সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে ছিল না। এ বিষয়ে থানায় কোনো পক্ষের অভিযোগ পাইনি।’
স্টাফ করেসেপন্ডেন্ট হাজীগঞ্জ ।।আপডটে, বাংলাদশে সময় ০৫:৩৫ পিএম,১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ বুধবার
এইউ