দ্বিতীয় ধাপে দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায়ে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আজ মঙ্গলবার। এরিমধ্যে ম্যাজিস্ট্রেট, রেপিড একশান ব্যাটালিয়ন, বিজিবি, পুলিশ, আনসারসহ ব্যাপক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত করা হয়েছে। এবারের হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ইভিএমের মাধ্যমে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যে কারনে নির্বাচনের মাঠে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী থাকবে কঠোর অবস্থানে।
গত ২ মে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ব্যাপক প্রচার প্রচারনা শেষে দেখা যায় ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব হেলাল উদ্দিন মিয়াজীর (আনারস), উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপির আস্থাভাজন হাজী মো. জসিম উদ্দিনের (দোয়াতকলম) এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান মজুমদার রানার (ঘোড়া মার্কা) নিয়ে লড়ছেন। তার মধ্যে মূলত লড়াই হবে আনারস ও দোয়াতকলম প্রতীকের মধ্যে।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাজীগঞ্জ উপজেলার উত্তর অঞ্চলে আনারস প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব হেলাল উদ্দিন মিয়াজীর বাড়ী আর দক্ষিণ অঞ্চলে পড়েছে দোয়াতকলম প্রতীকের প্রার্থী হাজী মো. জসিম উদ্দিন। মাঝখানে হাজীগঞ্জ পৌরসভার মধ্যে থেকে এবার প্রার্থী না থাকায় তারা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে এক হয়ে স্থানীয় সাংসদের আস্থাভাজন হাজী মো. জসিম উদ্দিনের দোয়াতকলম প্রতীকের পক্ষে প্রচার প্রচারনা চালিয়েছেন। এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়েও তেমন কোন নেতা না পেয়ে একাই জনতার সাথে প্রচার প্রচারনা চালিয়েছেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব হেলাল উদ্দিন মিয়াজী।
মঙ্গলবার ২১ মে হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থান নিয়ে মাঠে থাকবে। তাই উপজেলার সকল ভোটারা নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যাবেন এবং ভোট দিবেন বলে প্রশাসনের প্রত্যাশা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাফস শীল জানান, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে মাঠে থাকবেন, ১ জন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ১২জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিব থাকবে ২ প্লাটুন, র্যাব ও পুলিশের স্ট্রাইকিং টিম, পুলিশের ১৫টি মোবাইল টিম, ব্যাটালিয়ন আনসারের ১টি টিম, অঙ্গীভূত আনসারের ২০ জনের ১টি টিম। এছাড়াও প্রতি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
ভোটের মাঠে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সার্বক্ষনিক তদারকি করছেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, উপজেলায় গত ২১ এপ্রিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল এবং ২৩ এপ্রিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল এবং ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত আপিল, ৩০ এপ্রিল প্রত্যাহারের শেষ দিন, প্রতীক বরাদ্দ ২ মে এবং ভোট গ্রহণ হবে ২১ মে।
এর আগে গত পহেলা এপ্রিল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তপসিল ঘোষণার আগ থেকেই হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে বইতে শুরু করে নির্বাচনী হাওয়া। তফসিল ঘোষণার পূর্বে এবং পরে আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে অনেকেই প্রচার-প্রচারণা করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিন জন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ও দুইজন লড়ছেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। তবে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন কামরুজ্জামান সুমন।
প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ২০ মে ২০২৪