Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ / হাজীগঞ্জে নিম্নবিত্ত নারীরা জ্বালানিতে ব্যবহার করছে গোবরের লাকড়ি
jalane

হাজীগঞ্জে নিম্নবিত্ত নারীরা জ্বালানিতে ব্যবহার করছে গোবরের লাকড়ি

চাঁদপুর হাজীগঞ্জের গ্রাম অঞ্চলের নিম্নবিত্ত নারীরা বিকল্প জ্বালানি হিসাবে গোবরের শলাকা তৈরি করে লাকড়ি হিসাবে ব্যবহার করে আসছে দিনের পর দিন। তারা মূলত জ্বালানি সংকট দূর করতে গোবরের তৈরি শলার(মুঠিয়া) লাকড়ি তৈরি করে পরিবার জ্বালানী খরচ মিটিয়ে আসছে।

দেখা যায়,গোবর শলার লাকড়ি তৈরির আগে পরিমাপ মতো পাটখড়ি কেটে গোবর ও তুষ (কুড়া) একত্রে মিশিয়ে পাটখড়ির সঙ্গে এঁটে রোদে শুকাতে হয়। পাশাপাশি মুঠো করে ঘষি বানিয়ে রোদে শুকিয়েও ব্যবহার করা যায়।এছাড়া গোবরের কম্পোস্ট সার খুবই উৎকৃষ্ট হওয়ায় কৃষকরা জমিতে গোবর দিয়ে ভালো ফলন ফলিয়ে থাকে। ফলে সব সময়ই কৃষকদের মাঝে গোবরের কদর ব্যাপকভাবে দেখা যায়। যাদের গরু আছে কিন্তু আবাদি জমি নেই তারাও কৃষকদের কাছে গোবর বিক্রি করছেন।

এ উপজেলায় দিন দিন জ্বালানি সংকট মারাত্বক আকার ধারণ করছে। জ্বালানী সংকটের কারণে সবচেয়ে বেশি কষ্ট করতে হচ্ছে গ্রামাঞ্চলের নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র জনগোষ্ঠির পরিবারগুলোকে। জ্বালানীর অভাবে চুলা জ্বালাতে পারছেনা দরিদ্র জনগোষ্ঠির গৃহিণীরা।

এদিকে দফায় দফায় গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেকেই গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে। যার ফলে জ্বালানি কাঠের উপর দিন দিন চাপ বেড়েই চলেছে। কিন্তু দালাল টাইপের এক শ্রেণীর লোক ভিন্ন জেলায় ইটের ভাটাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য এই উপজেলার ছোট বড় গাছ বিক্রি করে দিচ্ছে। যে কারনে জ্বালানী সংকট দেখা দেওয়ায় উপজেলার পল্লী অঞ্চলের নিম্মবিত্ত ও মধ্য বিত্ত নারীরা তাদের বাড়ীর বা আশ-পাশের গোয়াল ঘরের পড়ে থাকা গোবর দিয়ে গৈই তৈরি করে আসছেন।

দিন দিন গোয়াল ঘরের সংখ্যা কমে যাওয়ার পরেও গোবরের গৈই বা লাটি তৈরি করছেন এমন কয়েকজনের মধ্যে উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিন ইউনিয়নের প্রয়ালজোষ গ্রামের মিস্ত্রি বাড়ীর আক্তার হোসেনের স্ত্রী কহিনুর বেগম বলেন, আমাদের নিজের দুইটা গরু আছে যেখান থেকে দৈনিক এক থেকে দুই ওড়া গোবর পাওয়া যায়। আর তা দিয়ে গোবরের গৈই তিরি করে আসছি। আমাদের মাসে গৈই দিয়ে জ্বালানী খরচ বেচেঁ যায়।

এ গ্রামের গোবরের লাটি তৈরি করে আসছেন মরিয়ম বেগম, রোকেয়া বেগম,খাদিজা বেগম,মমিনা বেগমসহ প্রায় ২০/২৫ জন নারী।

এ ভাবে উপজেলার বিশেষ করে দক্ষিন অঞ্চলের প্রায় ৪০/৫০ গ্রামের নিম্ম বিত্ত নারীরা প্রতিদিন গোবরের গৈই তৈরি কাজে ব্যস্ততা দেখা যায়। আর এতে করে এ অঞ্চলের নারীরা জ্বালানী সংকট দূর করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছেন।

প্রতিবেদক:জহিরুল ইসলাম জয়