হাজীগঞ্জ পৌরসভার নারী কাউন্সিলর মিনু আক্তারের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী মনিরের উদ্যোগে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকালে পৌরসভার টোরাগড় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, হাজীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান মৃধা, সাবেক কাউন্সিলর বিএনপি নেতা সিরাজ খান, সাবেক কাউন্সিলর এমরান হোসেন মুন্সী, শিক্ষক জহিরুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি কাজী মিঠু, পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজাদ হোসেন, ৮নং ওয়ার্ডের কবির হোসেন কাজী।
এসময় তারা বলেন, হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপন ও ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী মনির হোসেনের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অপ-প্রচারের লিপ্ত রয়েছে ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড নারী কাউন্সিলর মিনু আক্তার তা সত্যি দুঃখ জনক। আমরা এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলতে চাই, মিনু তুমি তোমার এ বক্তব্য উঠিয়ে নেও, তা না হলে তোমার ভবিষ্যৎ পথ ভাল হবে না। যে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা অভিযোগ তুলেছো তারা উদার মনের মানুষ। বিশেষকরে পৌর পিতার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আমরা নাগরিকরা মেনে নিতে পারবো না।
সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজক প্রধান ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী মনির হোসেন বলেন, নারী কাউন্সিলরের সাথে আমার কোন বিরোধ নেই। গত ৩ মাস পূর্বে তাদের পারিবারিক একটি লিখিত অভিযোগ মেয়র বরাবর ছিল। তা সমাধানের লক্ষ্যে আমিসহ ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবির হোসেন কাজীসহ আরো গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতি বসে একটি প্রতিবেদন পৌরসভার সিও বরাবর জমা দেই। প্রতিবেদনের কপি দেখে মিনু আক্তার তার পরিবারের বিরুদ্ধে যাওয়ায় সে গরম হয়ে খারাপ ভাষায় গালি গালাজ শুরু করে। সেই থেকে সে ক্ষিপ্ত হয়ে পৌর পরিষদে তেমন একটা আসতে দেখিনা। তবে যখনই বিভিন্ন ভাতা বই নিয়ে অফিসে আসে সে পৌর পরিষদের কর্মকর্তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে আসছে। বিভিন্ন সময় অনেক নারী কর্মকর্তাদের হুমকি দিতো তার অন্যায় কাজ সঠিক ভাবে করে দিতে। একজন নারী কাউন্সিলর হিসাবে তার খুঁটির জোর কোথায়।
হঠাৎকরে নারী কাউন্সিলর মিনু আক্তার গত ৩১ অক্টোবর ফেইসবুক ফেইজে এসে আমি কাজী মনির হোসেন ও পৌর মেয়র মাহবুব-উল আলম লিপনের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যে রাখেন। যা আমি শুনে সত্যি হতভাগ হয়েছি। একের পর এক তার এ মিথ্যা অপপ্রচার আজ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে। আমি তার এ হীন মনমানুষিকতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এর আগে ২ নভেম্বর বুধবার এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল করেছে পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। মানববন্ধন শেষে ঝাড়ু মিছিল বের করে। মিছিলটি উপজেলা পরিষদের সম্মুখ থেকে বের হয়ে আলীগঞ্জ বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদণি করে। এ সময় অপ-প্রচারকারী সংরতি-৩ (ওয়ার্ড নং- ৭, ৮ ও ৯) এর নারী কাউন্সিলর মিনু আক্তারকে বক্তব্য প্রত্যাহার ও তাকে গ্রেফতারের দাবী জানান তারা।
এর আগে গত ৩১ অক্টোবর ও ১ নভেম্বর সংরতি নারী কাউন্সিলর মিনু আক্তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের তার ব্যক্তিগত ব্যবহৃত আইডিতে পোস্ট ও লাইভ বক্তব্যের মাধ্যমে পৌর মেয়র আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপন ও ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী মনির হোসেনের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য তুলে ধরে বিভিন্ন অভিযোগ করেন।
মিনু আক্তারের এমন অভিযোগ প্রত্যাহার ও তাকে গ্রেফতারের দাবীতে এ মানববন্ধন করেন পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের ব্যানারে এ মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাসীন ফারুক বাদল, ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুমন তপদার, ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ শাহআলম, ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আজাদ হোসেন, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা কামাল, সাবেক কাউন্সিলর নুর হোসেন।
এ সময় প্যানেল মেয়র-২ ও সংরতি নারী কাউন্সিলর রোকেয়া বেগম, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মমতাজ বেগম মুক্তা ও নাজমুন নাহার আক্তার ঝুমু, কাউন্সিলর মাইনুদ্দিন মিয়াজী, আলাউদ্দিন মুন্সী, হাজী মো. কবির হোসেন, মো. বিল্লাল হোসেন, মো. সাদেকুজ্জামান মুন্সী ও মো. শাহআলম।
স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মো. ফারুক মিয়া, ইলিয়াস মিয়া, কবির হোসেন মজুমদার, তাজুল ইসলাম খোকা, কাজী আনিসুর রহমান, তৈয়ব আলী, ইমান আলী, আবুল বাসার আঠিয়া, যুবলীগ নেতা রুবেল মজুমদার, খোরশেদ আলম, মাসুদ রানা, মজিবুর রহমান ও আকতার হোসেন প্রমুখ।
প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ৩ নভেম্বর ২০২২