হাজীগঞ্জে নারী উদ্যোক্তা হাসিনা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন

হাজীগঞ্জে সফল নারী উদ্যোক্তা হাসিনা আক্তার শেলী নিজে ও তার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেন। ইতিমধ্যে তিনি হুমকি দাতার বিরুদ্ধে মামলা করেও রেহাই পাচ্ছেন না। এ জন্য তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানান দিয়ে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে হাজীগঞ্জ বাজারস্থ ট্রাকরোডে টিআর কুটির শিল্পের সত্ত্বাধীকারী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও নারী উদ্যোক্তা হাসিনা আক্তার শেলী নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হাজীগঞ্জে কর্মরত সংবাদকর্মীদের সাথে মতবিনিময় কালে এমন মন্তব্য করেন। এসময় তিনি বলেন, এর আগে আমি প্রতারনার মামলায় গ্রেফতার হই। এখন জামিনে এসে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর কাছে সুবিচার চাই।

মতবিনিময় সভায় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তব্য রেখে বলেন, ব্যবসায়ীক কারণে আমার সাথে গত দুই বছর পূর্বে হাজীগঞ্জ বাজারের গ্লাস ও থাই ব্যবসায়ী আবু বকর ছিদ্দিক সোহাগের সাথে আমার পরিচয় হয়। এক সময় আমাদের মাঝে পারিবারিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। এই সর্ম্পকের সুযোগে তিনি ব্লাক মেইল করে আমাকে ধর্ষণ করেন। যার মামলা আদালতে বিচারাধীন। ওই মামলায় তিনি জামিনে এসে আমাকে, আমার ছেলে, মেয়ে ও মেয়ের জামাইকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন। এতে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতা ভুগছি।

তিনি আরো বলেন, শুধু হুমকি-ধমকি নয়, আবু বকর ছিদ্দিক সোহাগ আমার বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনারের মামলা করেন। অথচ ওই চেকগুলো আমার হারিয়ে ছিল। যার কারণে আমি থানায় সাধারণ ডায়েরী করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে অবহিত করি। তারপরও ওই মামলায় আমি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হই। গ্রেফতারকালীন সময়ে তখন আমি অসুস্থ ছিলাম। আদালত অসুস্থতা দেখে আমাকে অস্থায়ী জামিন দেন।

সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর কাছে সুবিচার চেয়ে হাসিনা আক্তার শেলী বলেন, আমি ধর্ষণের শিকার হলাম। আবার আমার পরিবারের সদস্যদের হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দিয়েছি, তিনি আমার বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনারের মামলা দিয়েছেন। বিষয়টি আইনিভাবে সমাধান হবে। কিন্তু তিনি আমাকে প্রতিনিয়ত হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন। তাই, আমি আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর কাছে সু-বিচার চাই।

এ বিষয়ে আবু বকর ছিদ্দিক সোহাগের সাথে সংবাদকর্মীদের কথা হলে তিনি বলেন, আমি তার (হাসিনা আক্তার শেলী) কাছে টাকা পাই। কিন্তু তিনি আমার টাকা না দেওয়ার ফন্দি এটেঁ, উল্টো আমার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দিয়েছেন এবং আমার মান-সম্মান নষ্ট করেছেন। এখন আবার আমার নামে আপনাদের (সংবাদকর্মী) কাছে মিথ্যা কথা রটাচ্ছেন। আমার কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে, তাই আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আশা করি আমি সুবিচার পাবো।

হাজীগঞ্জ প্রতিনিধি, ১৪ এপ্রিল ২০২৩

Share