চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভায় মারুফ হোসেন রিয়াদ (১৬) এর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে। ১৯ জানুয়ারি রোববার সকালে পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ গাইন বাড়ির ফরিদ হোসেনের দোকান থেকে উদ্ধার করা হয়। তবে দোকানে থাকা কর্মচারী ভায়রা ফারুক হোসেন (২৮) পলাতক রয়েছে। ফারুক পাশ্ববর্তী কচুয়া উপজেলার বাসিন্দা।
পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দোকানের মালিক ফরিদ হোসেনকে আটক করেছে বলে নিশ্চিত করেন হাজীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মো.আলমগীর হোসেন রনি।
রিয়াদ গাইন বাড়ীর ফারুক মিয়ার বড় ছেলে। সে আমিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
নিহত রিয়াদের মা রোজিনা বেগম বলেন, ফারুকের সাথে একটি মোবাইল নম্বর নিয়ে হট্টগোলের কথা জানতে পেরেছি। এছাড়া রিয়াদের চাচা শাকিল প্রায় দুইমাস আগে একটি ব্রেসলেট নিয়ে বিরোধে চুরি দিয়ে আঘাত করে। তখন হাসপাতালে নিয়ে সেলাই দেয়া হয়। থানাও একটি অভিযোগ দিয়েছি।
রিয়াদের বাবা ফারুক মিয়া বলেন,সপ্তাহখানেক আগে আমার নতুন বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় কে বা কারা। আমার সাথে কিসের শত্রুতা। আমার ছেলেকেও খুন করলো। সকাল থেকে শাকিল ও ফারুক পলাতক রয়েছে।
দোকানের মালিকের স্ত্রী শাহিদা বেগম বলেন, ফারুকের সাথে রিয়াদের আগে বন্ধুত্ব ছিল। ইতোমধ্যে একটু খারাপ সম্পর্ক দেখেছি। দোকানটি ফারুক পরিচালনা করতো। প্রতিদিন বিকালেই দোকানটি বন্ধ করা হয়।
স্থানীয় কাউন্সিলর জাহেদুল আজহার আলম বেপারী বলেন, সকালে দোকানের মালিক ফরিদ দোকানের কর্মচারী ফারুককে ঘুম থেকে জাগাতে এসে দেখে বন্ধ। পরে সার্টার ভেঙ্গে দেখে রিয়াদের লাশ। বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ খবর দিয়েছি।
হাজীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন রনি বলেন, হত্যার ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার মো.মাহবুবুর রহমান পিপিএম ও হাজীগঞ্জ পৌর মেয়র আ.স.ম. মাহবুব-উল আলম লিপন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্পেশাল করেসপন্ডেট