হাজীগঞ্জে দুই বছর পর জমে উঠেছে বৈশাখী মেলা

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে করোনা মহামারি কাটিয়ে দুই বছর পর জমেউঠেছে বৈশাখী মেলা। এর আগে গত ১৪ এপ্রিল ১৪২৯ বাংলা বর্ষের আগমন উপলক্ষে হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। তা দেখে হাজীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার মেলা আয়োজক কমিটির নেতৃবৃন্দ পূর্বের প্রস্তুতি বাস্তবায়নের লক্ষে বৈশাখী মেলার আয়োজন করে।

পহেলা বৈশাখ বাঙালির সংস্কৃতির পরিচয় যা সম্রাট আকবরের শাসন আমল ১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দে যে ইলাহী সন চালু হয়েছিলো, তা-ই বঙ্গাব্দ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে৷ কৃষক শ্রেণির সেই ফসলি সন এখন বাঙালি সংস্কৃতির প্রতীক হয়ে উঠেছে৷ খ্রিষ্টাব্দের আগমনে বাঙালি উৎফুল্ল হয়, কিন্তু বঙ্গাব্দের আগমনে বাঙালি আনন্দের জোয়ারে ভাসে৷ রমনার বটমূল বৈশাখী আয়োজনের কেন্দ্র বিন্দু৷ কিন্তু এই বৈশাখীর রং লাগে গোটা দেশে, গোটা বিশ্বের আনাচে কানাচে যেখানে বাঙালি বসত করে৷ নববর্ষের রঙের ঢেউ তাই এখনও বিশ্বের আনাচে কানাচে খেলা করছে৷

সরেজমিন দেখা যায়, গত দুই দিনে উপজেলার বড়কূল পূর্ব ইউনিয়নের রায়চোঁ, সেন্দ্রা কালীবাড়ি গোহাট, গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের কাশিমপুর গ্রামে, হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের বেলঘর, বাকিলা ইউনিয়নের স্বর্ণা ও পৌর এলাকার বলাখাল ও রান্ধুনীমুড়া এলাকায় বৈশাখী মেলার আয়োজন লক্ষ করা যায়। তবে রোজার কারনে শিশু, কিশোর ছাড়া যুবক বা মধ্য শ্রেণীর মানুষের কোন আগমন চোঁখে পড়েনি।

এবারের মেলা হাড়ি, পাতিল, নানা রংচং চুড়ি, বাহারি ডিজাইনের খেলনাপাতি বেশীরভাগ শিশু কিশোরী মেয়েদের পোষাকের সাথে মন কেড়েছে। ছেলেরা এ মেলায় যেন দুই বছর পর প্রাণ খুজে পেয়েছে।

শনিবার হাজীগঞ্জ রামগঞ্জ সড়কের রান্ধুনীমুড়া রানী বাজার বৈশাখী মেলার খেলনা বিক্রেতা হরিমন সাহা বলেন, আগের মত মানুষ মেলায় আসেনা। করোনা মহামারির মধ্যে রোজার কারনে আমরাও তেমন প্রস্তুতি নিয়ে বসিনি। তার পরেও মোটামুটি ছেলে মেয়েদের উপস্থিতির কারনে মেলার পরিবেশ ধরে রেখেছে।

হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, বাঙ্গালির ঐতিহ্য সংস্কৃতি থেকে প্রতিবছর প্রহেলা বৈশাখ উদযাপন করে আসছে। কিন্তু বিশ্ব মহামারি কারনে গত দুই বছর এভাবে পালন হয়নি। তাই আমরা চাই যেন এ সংস্কৃতি পূর্বের ন্যায়ে চলমান থাকে।

প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়,১৬ এপ্রিল ২০২২

Share