Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ / হাজীগঞ্জে দু’প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক ৬ জন
school-primary

হাজীগঞ্জে দু’প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক ৬ জন

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ২৩ নং ব্রাক্ষনগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১৩নং আহমেদাবাদ লুৎফুন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটে পাঠদান ব্যহৃত হচ্ছে। এ দুই স্কুলের শিক্ষার্থীদেরকে পাঠদান দিচ্ছেন মাত্র তিনজন করে ৬ জন শিক্ষক।

এতে একদিকে শিক্ষকরা যেমন অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে ক্লান্তিতে ভোগেন, অন্যদিকে শিক্ষার্থীরাও অমনোযোগী হয়ে পড়ে। এর মাধ্যমে দারুণ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা। তবে মাঝে মধ্যে প্যারা শিক্ষক দিয়ে পাঠদান করা হলেও, অর্থের অভাবে তাও বন্ধ রয়েছে বলে উভয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান।

উপজেলার ১নং রাজারগাঁও ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড রামরা গ্রামে অবস্থিত আহমেদাবাদ লুৎফুন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় । ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যালয়টি চালু হওয়ার পর ১৯৯২ খিস্ট্রাব্দে চারকক্ষ বিশিষ্ট একতলা টিনশেড ভবন নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে একটিতে অফিস এবং অপর তিনটি কক্ষে প্রাক-প্রাথমিকসহ অন্যান্য শ্রেণি কার্যক্রম চলছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে আরেকটি একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।

জানা গেছে, বিদ্যালয়টিতে প্রাক-প্রাথমিকে শ্রেণিসহ শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় দুই শত। বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ রয়েছেন মাত্র তিনজন শিক্ষক । অথচ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ ৫ জনের পদ রয়েছে। এর মধ্যে বদলীজনিত কারণে একটি পদ শূণ্য এবং একজন শিক্ষক ট্রেনিংয়ে রয়েছেন। এতে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক সংকট দেখা দেয়। দীর্ঘদিন ধরে এ শিক্ষক সংকট থাকায় একজন শিক্ষককে একাধিক অতিরিক্ত ক্লাশ নিতে হয়। যার ফলে শিক্ষকেরা ক্লান্ত হয়ে পড়েন এবং শিক্ষার্থীরাও অমনোযোগি হয়ে পড়ে।

ঠিক একই চিত্র দেখা যায় দ্বাদশগ্রাম ইউনিয়নের ব্রাক্ষনগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এখানে ডেপুটিশনের কারনে দুই জন শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে । যে কারনে তিন জন শিক্ষক দিয়ে প্রায় দেড়শ শিক্ষার্থীর পাঠদান করতে গিয়ে চরম হিমসিমে পড়তে হয় শিক্ষকদের।

গ্রামাঞ্চল হওয়ায় এসব বিদ্যালয়ের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই দরিদ্র পরিবার ও নিন্মবিত্ত পরিবারের সন্তান। তাছাড়া আশ-পাশে মানসম্মত কোন সরকারি বা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও নেই, যেখানে ওই এলাকার শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করবে। কথা হয় কয়েকজন অভিভাবকের সাথে। তাদের অভিযোগ, শিক্ষকের অভাবে যথাযথ পাঠদান হচ্ছে না । তাই মানসম্মত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তাদের সন্তানেরা।

পাঠদান ব্যহৃতের বিষয়টি স্বীকার করে ব্রাক্ষনগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছিমা বেগম বলেন, গত কয়েক বছর ধরে দুই জন শিক্ষকের পদ শূর্ণ রয়েছে। আমরা তিনজন শিক্ষক ক্লাস নিতে অনেক কষ্ট প্রহাতে হয়।

একই অভিযোগ করে আহমেদাবাদ লুৎফুন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদ হাছান মোস্তফা বলেন, তিনজন শিক্ষকের মধ্যে মাঝে মধ্যে দাপ্তরিক কাজে আমি বা আমার শিক্ষকেরা অন্যত্র গেলে পাঠদানের সমস্যা হয়। এ বিষয়ে ক্লাষ্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল সরকার বলেন, তিমধ্যে উপজেলার সকল বিদ্যালয়ের শিক্ষক শূণ্য পদের তালিকা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। আশাকরি শিঘ্রই এ দুই স্কুলেও শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।

প্রতিবেদক:জহিরুল ইসলাম জয়