চাঁদপুরের ৮ টি উপজেলার মধ্যে প্রথম একমাত্র শতভাগ বিদ্যুৎতায়ন উপজেলা হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নাম উঠে হাজীগঞ্জ উপজেলার। অথচ এই উপজেলার পল্লী এলাকায় বিদ্যুৎতের খুটি ও তার লাগা সত্বেও গত ৩ বছর ধরে অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন কয়েকটি পরিবার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ১০ নং গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড দেশগাঁও আখন্দ বাড়ির প্রবাসী আনিসুর রহমান, জসিম আখন্দ, নিখিলসহ কয়েকটি পরিবারের বিদ্যুৎ সংযোগের অপেক্ষায় অন্ধকারে পড়ে আছেন।
এই গ্রামে গত ৭ বছর পূর্বে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌছলেও বাড়ীর একাংশের বিরোধিতায় আলোর মূখ দেখেনি বঞ্চিত পরিবারগুলো। পরবর্তীতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন বাচ্চুর মাধ্যমে গত ৪ বছর পূর্বে বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদন করলে দূত পাওয়ার লক্ষে কিছু নগদ অর্থ খরচ করেন পরিবারগুলো।
আবেদনের ৬ মাসের মাথায় বিদ্যুৎতের খুটি ও তার লাগানো হলে লাইন চালু করার সময় বাড়ীর একাংশের বাধাঁয় গত ৩ বছর ধরে উক্ত সংযোগ আর চালু হয়নি।
জানা যায়, আখন্দ বাড়ির একাংশ বিএনপি জামায়াতের লোক। তাদের পক্ষে ওই বাড়ীর বাসিন্ধা বর্তমানে হাজীগঞ্জ বাজারের গ্রামীন ফোন সেন্টারের সত্বাধিকারী দিদার মিয়া বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
যেখানে উল্লেখ রয়েছে বাড়ীর কবরের স্থান হয়ে পুকুর পাড় দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগটি ঝুঁকিপূর্ন বলে বাধাঁ দেন। বাস্তবে সব ঠিক থাকলেও পুকুরের উপর দিয়ে বাড়ির হাজা পথে বিদ্যুৎতের খুটিগুলো বসেছে। আর এতে করে কারও কোন প্রকার ক্ষয়ক্ষতির সম্ভবনা নেই । এ অসহায় পরিবারগুলো আওয়ামীলীগ সমর্থক বলে বিএনপি জামায়াত সমর্থক পক্ষরা বাধাঁ প্রধান করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
ভূক্তভোগি পরিবারের মধ্যে প্রবাসী জসিমের স্ত্রী রীনা বেগম চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘আমাদের কথা বলার মত কোন লোক নেই। বিদুৎতের খুটি ও তার এসেছে ৩ বছরের উপরে অথচ সংযোগ চালু হওয়ার কোন সু-খবর নেই। আমরা প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করি যেন সরেজমিনে এসে আমাদের সংযোগুলো চালু করার ব্যবস্থা করেন।’
এ বিষয়ে চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর অতিরিক্ত জেনারেল ম্যানেজার সুকুমার চৌধুরী বলেন,‘বিষয়টি মূলত প্রতিহিংসার কারনে এ ধরনে বাধাঁর অভিযোগ উঠে। অতি দ্রত যেন সংযোগ চালু করনো যায় সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।’
প্রতিবেদক:জহিরুল ইসলাম জয়
১২ ফেব্রুয়ারি,২০১৯