চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন ব্রিক ফিল্ডে অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। সকাল থেকে অভিযান চালিয়ে চারটি ইট ভাটায় ৪৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। গুড়িয়ে দেয়া হয় ফিল্ড। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানজীদ আহমেদ।
২০ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে জেলার হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার আলীগঞ্জে মেসার্স কামাল ব্রিকস, বিলওয়াই এলাকার রণি ব্রিকস ও এমবিএম ব্রিকস অভিযান চালিয়ে ১৮ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। গুড়িয়ে দেয়া হয় ভাটাগুলো।
এর মধ্যে ইটভাটা, শাহজাহান বেপারীর মালিকানাধীন মেসার্স কামাল ব্রিকসকে ৬ লাখ, আব্দুল মান্নান খান বাচ্চুর রণি ব্রিকসকে ৬ লাখ, বশির উদ্দিন মজুমদারের এমবিএম ব্রিকসকে ৬ লাখ ও মহসিন পাটওয়ারীর মালিকানাধীন গণি ব্রিকসকে ২৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
পরিবেশ অধিদফতরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তানজীদ আহমেদ বলেন, ৩টি ইটভাটাই পৌরসভার মধ্যে পড়েছে। পরিবেশ আইনে পৌর এলাকায় ইটভাটা সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ। ২০১২ সালে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া তারা যে স্থান থেকে মাটি কাটছে তার কোনো অনুমোধপত্র নেই। এমন অবৈধভাবে ইটভাটা চালানোয় টি প্রতিষ্ঠানকে ৬ লাখ টাকা করে ১৮ লাখ টাকা এবং গণি ব্রিককে ২৬ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। তবে গণি ব্রিকস হাইকোর্টের রিট থাকায় তাদের আপাতত ৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। হাইকোর্টের রিটের কাগজ দেখাতে না পারলে বাকি ২০ লাখ টাকাও আদায় করা হবে।
চাঁদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এএইচ এম রাসেদ বলেন, চাঁদপুরের ৪০টির মতো অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। ২০১২ সালে তাদের লাইসেন্স বাতিল হয়েছে। কিন্তু হাইকোটে রিটের মাধ্যমে তারা এতোদিন কার্যাক্রম চালিয়ে আসছিলো।জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তাদের ইটভাটা বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া সত্ত্বেও তারা ইটভাটা বন্ধ করেনি। তাই পরিবেশ অধিদপ্তের নিয়মানুসারে ইটভাটা গুড়িয়ে দেওয়া হয়। তিনি আরো জানান চাঁদপুরে সর্বমোট ১৪০ টি ইটভাটা রয়েছে যার মধ্যে চলমান রয়েছে ১০৩ টি।
মালিক পক্ষ শাজাহান বেপারী বলেন,তাদেরকে বিষয়টি জানানো হলেও অন্তত এ বছরের সুযোগ চাওয়া হয়েছিলো। সে সুযোগ দেয়া হয়নি।
অভিযানকালে ব্রিকস ফিল্ডের চুলাটি পানি দিয়ে নষ্ট করে ফেলা হয়। চাঁদপুর জেলার শতাধিক ইটভাটার মধ্যে ৪০টি ইটভাটা কোনো ধরনের নিয়ম-নীতি না মেনেই দীর্ঘদিন ধরে ইট তৈরি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
অভিযানকালে র্যাব-১১ ফায়ার সার্ভিস ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।জরিমানাকৃত ইটভাটার কোনো কাগজপত্র নেই। অবৈধভাবে ২০১২ সাল থেকে ইটভাটাগুলো চলছে।
আশিক বিন রহিম