Home / শীর্ষ সংবাদ / হাজীগঞ্জে তিনশো ফিট বাঁশের সাঁকো দিয়ে ১০ পরিবারের চলাচল
তিনশো

হাজীগঞ্জে তিনশো ফিট বাঁশের সাঁকো দিয়ে ১০ পরিবারের চলাচল

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে তিনশো ফিট বাঁশের সাঁকো দিয়ে গত ৭ বছর ধরে দশ পরিবারের একমাত্র চলাচল। রাজনারায়ণ খালের উপর সাঁকোটিতে চলাচল করতে গিয়ে চরম আতংকে পার হয় শিশু বৃদ্ধসহ আগত মেহমানরা। এমন চরম ভোগান্তিতে পড়তে দেখা যায় উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর বাজারের পশ্চিমে প্রায় দশ পরিবার।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আহম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের পশ্চিম উত্তর পাশে বাসিন্দারা হলেন, মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, নুর হোসেন, সোহেল আলম, রুবেল হোসেন, লিটন মিয়া, পরাহিল মিয়া, নেছার আহমেদ, মহসিন, কাইউম হোসেন ও হক সাহেব। এরা সবাই আহম্মদপুরের নতুন বাড়ির বাসিন্দা।

প্রায় তিনশত ফুট লম্বা সাঁকো দিয়ে এখানকার বাসিন্দারা দিন রাত চলাচল করতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে। মোহাম্মদপুর বাজারে উঠতে এ সেতু পার হতে আনুমানিক ২০/২৫ মিনিট সময় লাগে।

আনিসুর রহমান ও রুবেল হোসেন বলেন, আমাদের আগে ইউনিয়ন পরিষদের উত্তর পাশে চলাচলের পথ ছিল। স্থানীয় প্রভাবসালী মোহাম্মদপুর গ্রামের মোস্তফার ছেলে এনায়েত মিয়া ৩ বছর পূর্বে তার বাড়ীর সামনে দেওয়াল তুলে রাখায় এ পরিবারগুলো বাধ্য হয়ে রাজনারায়ণ খালের উপর দিয়ে তিনশত ফিট বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করে আসছে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আয়েশা আক্তার, ফাতেমা আক্তার, নুরজাহান, আরাফাত ও ওমর বলেন, আমরা ঠিকমত বিদ্যালয়ে যেতে পারি না। যাওয়া আসার সময় প্রায় সাঁকো থেকে পড়ে যাই। এতে পোষাক পরিধান, বই প্রস্তুক ভিজে যায়। আমাদের সাঁকোর পথে নতুন রাস্তা হলে আমরা স্কুলে যেতে সমস্যা হবে না।

স্থানীয় গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী নুরুল রহমান বেলাল বলেন, আমার কাছে আবেদন আছে আগামি শীত মৌসুমে ইউএনও স্যারের পরামর্শে বিকল্প কালভাট করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাফস শীল জানান, ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা দিয়ে পথ না দিলে আমাদের বলার কিছু নেই, তবে আগামি খরার সময়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান বিকল্প পদক্ষেপ নিবেন।

প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ৮ জুলাই ২০২৪