হাজীগঞ্জ উপজেলার কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের সৈয়দপুরের মধ্যবর্তী এলাকার বড় দিঘিটি আরো বৃহৎ করার লক্ষ্যে একটি ড্রেজার বসানো হয়েছে। ওই ড্রেজার দিয়ে মাটি খনন করায় বাসারা-নারায়ণপুর ও সৈয়দপুর খানকা শরীফের পূর্ব পাশে খালের ওপর প্রায় ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রীজসহ চলাচলের রাস্তাটি এখন হুমকির মুখে পড়েছে।
সম্প্রতি ওই এলাকার দু’শতাধিক বাসিন্দা ও ভুক্তভোগীরা গণস্বাক্ষর দিয়ে অবৈধ ড্রেজারের মাধ্যমে মাটি খনন বন্ধ করার জন্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহাবুবুল আলম মজুমদারের নিকট একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,সৈয়দপুর গ্রামের মৃত এ কে খান হায়দার চৌধুরীর ছেলে মো.কাইয়ুম চৌধুরী ঢাকায় থাকেন। তার স্থানীয় জনবলের মাধ্যমে বৃহত্তর দিঘি তৈরি করে সেখানে মাছ চাষের পরিকল্পনা করছেন। সে লক্ষ্যে প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে তিনি অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে মাটি খনন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে দিঘির পাশের বাগান বাড়িটিও হুমকির সম্মুখীন।
এলাকাবাসীর দেয়া অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চৌধুরী বাড়ির বৃহত্তর দিঘির পাশে তাদের বাগান বাড়ি ও ক’টি ছোট কুপ রয়েছে। আর তার এ ছোট দিঘিকে ঘিরে রয়েছে প্রায় এক কি.মি. রাস্তা। গত বছরও মাটি খনন করায় রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এবারও পুনরায় ড্রেজারের মাধ্যমে মাটি ও বালি উত্তোলন করায় পুরো রাস্তাটি ভেঙ্গে পড়ার আশংকা করছে এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম মোল্লা বলেন,‘ড্রেজার বসানোর পর থেকে রাস্তায় চলাচলরত স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসার শিক্ষার্থী,অফিস আদালতের কর্মকর্তা,খানকা শরীফের খাদেম এবং ইরি বোরো চাষাবাদের ফসলসহ আশপাশের বসত বাড়ির বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
গণস্বাক্ষর দেয়া স্থানীয় বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম,আবু তাহের মোল্লা,নেছার আহমেদ, কামাল হোসেন ও শাহআলম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আমরা এলাকায় বসে গণস্বাক্ষর নিয়েছি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না।’
এলাকাবাসীর পক্ষে অভিযোগকারী সৈয়দপুর মজুমদার বাড়ির মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আমিনুল ইসলাম মজুমদার বলেন,‘প্রচলিত আইন না মেনে পরিবেশ অধিদপ্তর কিংবা উপজেলা প্রশাসনের কোনো অনুমতি না নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী কর্তৃক অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে মাটি কাটছে। এতে সরকারি রাস্তার মাটি ভেঙ্গে পড়ছে। বিষয়টি প্রশাসনের সু-দৃষ্টির প্রয়োজন।’
অভিযুক্ত কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘ড্রেজার বসানো অবৈধ নয়। তবে জনগণের স্বার্থ রক্ষা করবো। রাস্তার যে ক্ষতি হলে তা’মেরামত করে দিবো।’
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহাবুবুল আলম মজুমদার অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
প্রতিবেদক :জহিরুল ইসলাম জয়
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৪:১০ পিএম,২ অক্টোবর,২০১৭,সোমবার
এজি