Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ / হাজীগঞ্জে টাকা ছাড়া মিলছে না বিনামূল্যের বই
Book

হাজীগঞ্জে টাকা ছাড়া মিলছে না বিনামূল্যের বই

চাঁদপুর হাজীগঞ্জে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনও টাকা ছাড়া পাচ্ছে না সরকারের বিনামূল্যের পাঠ্যবই। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী চাঁদপুরের ড.দীপু মনির সুনাম নষ্ট করতে এসব স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটি ম্লান করে দিয়েছে। আর এসব অনিয়মের অভিযোগ পেয়েও এখন পর্যন্ত চুপ করে আছে হাজীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।

গত পহেলা জানুয়ারি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের দেশগাঁও জয়নাল আবেদীন উচ্চ বিদ্যালয়, গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের পালিশারা উচ্চ বিদ্যালয়, ৬নং বড়কূল পূর্ব ইউনিয়নের বেলচোঁ উচ্চ বিদ্যালয়, বড়কূল পশ্চিম ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর ভূঁইয়া একাডেমী, ২নং বাকিলা ইউনিয়নের বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়সহ প্রায় ১০/১২ টি মাধ্যমিক ও মাদ্রাসায় এখনও প্রায় ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থীর হাতে পৌছেনি সরকারের বিনামূল্যের পাঠ্য বই।

দেখা যায়, বিদ্যালয়ের শ্রেণী উত্তিন্ন ভর্তি ফি,শেষন ফি, আধারসর্চাজ, কল্যান ট্রাষ্টসহ বিভিন্ন চার্জ দেখিয়ে প্রায় ১৪ থেকে ১৫শ’ টাকার বিল অগ্রিম জমা না দিলে নতুন বই পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। প্রথম দিন থেকে যারা টাকা দিতে পেরেছে শুধুমাত্র তারাই পেয়েছে বিনামূল্যের পাঠ্য বই। যেসব শিক্ষার্থী টাকা দিতে পারেনি তারা বই ছাড়াই বাড়ী ফিরে গেছে বলে একাধিক অভিযোগ পাওয়া যায়।

হাতে নাতে গিয়ে দেখা যায়, বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ট থেকে ৯ম শ্রেণী পর্যন্ত প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে পাঠ্য বই বাবৎ আদায় করেছে ১৪৫০ থেকে ১৫শ টাকা। দেশগাঁও জয়নাল আবেদীন উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫শ থেকে ৭শ টাকা। পালিশরা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯শ থেকে এক হাজার টাকা। এভাবে প্রায় অধিকাংশ বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় অগ্রিম টাকা ছাড়া মিলেনি পাঠ্যবই।

এ বিষয়ে বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ৮ম মুক্তা আক্তার, ১০ম শ্রেণীর সৌহরাব সৃত্রধর, ৬ষ্ঠ শ্রেণীর আকলিমা আক্তার ও জিহাদ হোসেন বলেন, আমাদের কাছ থেকে ১৫শ টাকা জমা দিয়ে রিসিট দিয়ে পাঠ্যবই পেয়েছি।

দেশগাঁও জয়নাল আবেদীন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ইয়াছিন, কামরুল, ৯ম শ্রেণীর মরিয়ম,ফয়শাল বলেন, আমাদের কাছ থেকে ৫শ টাকা করে রেখে বই দিয়েছে।

এ সময় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মূখে শুনা যায়, সরকার যেখানে বিনামূল্যে বই দিচ্ছে সেখানে বিদ্যালয় থেকে টাকা ছাড়া বই মিলছে না। এসব অনিয়ম দেখবে কে।

খোজ নিয়ে জানা যায়, হাজীগঞ্জের এসব মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কিছু মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা এখন পর্যন্ত টাকা না দিতে পারায় সরকারের বিনামূল্যের পাঠ্য বই থেকে বঞ্চিত।

বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান বলেন, আমার বিদ্যালয়ে প্রায় ৭শ শিক্ষার্থী রয়েছে। আমরা প্রথম দিন প্রতি ক্লাস থেকে ৩ জন করে বই উৎসবে কোন টাকা ছাড়াই বই দিয়েছি। বিদ্যালয়ের শেষন ফি ১৩ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে, তাছাড়া অন্যান্য মিলে আমরা ১৪শ থেকে ১৫শ টাকা নিয়েছি।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি লিখিত আকারে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

স্টাফ করেসপন্ডেট