Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ / হাজীগঞ্জে জনতা ব্যাংকের উদাসীনতায় শিক্ষকদের চরম ভোগান্তি
হাজীগঞ্জে জনতা ব্যাংকের

হাজীগঞ্জে জনতা ব্যাংকের উদাসীনতায় শিক্ষকদের চরম ভোগান্তি

করোনার এই দুঃসময়ে বেসরকারি স্কুল, কলেজ মাদরাসার শিক্ষকগণ তাঁদের বেতন জনতা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করতে গিয়ে হয়রানি হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে বেতন উত্তোলন দূরের কথা উল্টো দারোয়ানের অশোভন আচরণের শিকার হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

ঘটনাটি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজার জনতা ব্যাংক শাখায়।

জানতে চাইলে বড়কুল রামকানাই হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ও হাজীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল হক আক্ষেপের সাথে বলেন, এই ভয়াল সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চাদঁপুর গিয়ে জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছ থেকে বিলে স্বাক্ষর করে গত ১২ এপ্রিল ব্যাংকে বিল জমা দিয়েছি। এখন পর্যন্ত বেতনের টাকা শিক্ষকদের একাউন্টে পোস্টিং হয়নি।

তিনি আরো জানান, ১৫ এপ্রিল বুধবার সকালে একজন অফিসারকে অনুরোধ করার পরেও বেলা ১২.৩০ পর্যন্ত মোবাইলে পোস্টিং ম্যাসেজ না আসেনি। ব্যাংকে গিয়ে দরজায় দেড় ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও ভিতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। কেনো বিল পোস্টিং হচ্ছে না তাও জানার সুযোগ দিচ্ছে না ।

জানা গেছে, গত চারদিনে বিলটা পোস্টিং না হওয়া শিক্ষকরা বেতন উত্তোলন করতে পারেনি। দূর দুরান্ত থেকে শিক্ষকরা বেতন উঠাতে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে বেতন ছাড়া বাড়ি ফিরে গেছেন।

হাজিগঞ্জ পাইলট হাইস্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক জহিরুল ইসলাম বলেন, গত চারদিন ব্যাংকে লাইনে দাঁড়িয়ে বেতন উঠাতে পারিনি।আজ বৃহস্পতিবার এসেছি। শিক্ষকদের অভিযোগ হাজীগঞ্জের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখায় এমন একজন অদক্ষ অফিসার ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করছেন।তা বোধগম্যতার বাইরে। বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার সকালে জনতা ব্যাংকের ম্যানেজার শরীফ মিয়া চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, গত দুই দিনে ছয় শতাধিক শিক্ষক বেতনের টাকা উত্তোলন করেছেন। প্রতিমাসে প্রায় দুই হাজার শিক্ষক বেতন উত্তোলন করে থাকেন। তবে আজকের মধ্যেই শিক্ষকদের বেতন উত্তোলণের কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।

প্রতিবেদক : মনিরুজ্জামান বাবলু, ১৬ এপ্রিল ২০২০