চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার দ্বাদশ গ্রাম ইউনিয়নে মাদ্রাসা ছাত্রী শিল্পী আক্তার (১৫) কে অপহরণ করার অপরাধে মোঃ কামরুল ইসলাম প্রধানিয়া (২৫) কে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) মোঃ সেলিম মিয়া এই রায় দেন।
যাবজ্জীবন কারাদন্ড কামরুল ইসলাম হাজীগঞ্জ উপজেলার রামরা গ্রামের প্রধানিয়া বাড়ীর ডাঃ বিল্লাল হোসেন প্রধানিয়ার ছেলে এবং অপহৃতা শিল্পী আক্তার কাপাইকাপ গ্রামের মোঃ আব্দুল মমিন এর কন্যা। সে স্থানীয় কাপাইকাপ ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার একাদ্বশ শ্রেনীর অধ্যয়ন করতো।
মামলার বিবরণে জানাযায়, ২০০৯ সালের ১৯ জুলাই সকাল ৯টার দিকে শিল্পী বাড়ী থেকে মাদ্রাসা যাচ্ছিল। পথিমধ্যে কাপাইকাপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সামনে থেকে কামরুল তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এই ঘটনায় শিল্পীর পিতা আব্দুল মমিন ২৭ আগষ্ট ২০০৯ তারিখে হাজীগঞ্জ থানায় কামরুলের বিরুদ্ধে অপরহণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই- তৎকালীন) আব্দুল মান্নান ঘটনার তদন্ত শেষে ২৮ অক্টোবর ২০০৯ তারিখে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল চাঁদপুরের স্পেশাল পিপি অ্যাড. হাবিবুল ইসলাম তালুকদার জানান, আসামী অপহরণের পূর্ব থেকেই শিল্পীকে যৌন হয়রানি করতো। আদালত সাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে কামরুল ইসলাম দোষী সাবস্ত হওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৭ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
সরকার পক্ষের সহকারী আইনজীবী (এপিপি) ছিলেন অ্যাড. জসিম উদ্দিন ভুঁইয়া।
করেসপন্ডেন্ট
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৬: ৩০ এএম, ২২ জুন ২০১৭, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ