Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ / হাজীগঞ্জে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
হাজীগঞ্জে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

হাজীগঞ্জে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএসও ২৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা স¦াস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গত ২৪ ঘণ্টা নিজ বাসভবনে অবরুদ্ধ ছিলো বলে জানা গেছে।

হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় ও এমএলএসএস পদের চাকুরি প্রার্থীদের এক এক জনের কাছ থেকে ৮০-৯০ হাজার টাকা করে নেওয়ার অভিযোগে গত ১৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত টানা ২৪ ঘণ্টা টিএসও’র বাস ভবনের ভিতরে অবরুদ্ধ ছিলো।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ২০১২ সালে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। এরই মধ্যে দালাল চক্রের মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চাকুরি দেওয়ার নাম করে নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয় এ কর্মকর্তা। পরে এদের মধ্যে গত বছরের শুরতে ওয়ার্ড বয় ও এম এল এস এস পদে মনির, লিটন, ফরিদ ও মোহাম্মদ উল্ল্যা এ ৪ জনকে চাকুরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৮০ হাজার টাকা করে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন। এরা হাসপাতালে চাকুরি পেয়ে কাজ করছেন অথচ গত ১১ মাসেও চাকুরি স্থায়ী করে দেননি এবং কোনো বেতনও তারা পায়নি।

এরই মাঝে গোপনে এ কর্মকর্তা বদলি অর্ডার নিয়ে গত ১৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার হাসপাতালের সরকারি কোয়াটার ত্যাগ করার সময় খবর শুনে ওই সকল প্রতারণার শিকার হওয়া ব্যক্তিরা তাকে অবরুদ্ধ করে ফেলে।

প্রতারিত ওয়ার্ড বয় মনির হোসেন ও টিকেট মাস্টার মোহাম্মদল্ল্যাহ বলেন, আমরা গত বছরের মার্চ মাসে হাসপাতালে টিএসও’র মৌখিক অনুমোদনে ঢুকেছি। ওই সময় তিনি আমাদের কাছ থেকে নগদ ৮০ হাজার টাকা নিয়েছেন এবং বলেছেন, চাকুরি করো তোমরা সময়মত স্থায়ী হয়ে যাবে। কিন্তু গত ১১ মাসে কোনো বেতন পাইনি। হঠাৎ করে শুনতে পেলাম তিনি বদলী হয়ে যাচ্ছেন তাই আমরা সবাই মিলে তাকে টাকা ফেরতের আশায় বাসার বাইরে প্রহরায় রয়েছি। তবে ওইদিনে ওয়ার্ড বয় মনিরকে কর্মকর্তা সাইফুল ৮০ হাজার টাকার মধ্যে থেকে ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন বলে জানান মনির হোসেন। বাকি ৩ জনের টাকা রোববারের মধ্যে দেবেন বলে তাদেরকে জানিয়েছেন টিএসও। বর্তমানে এ কর্মকর্তা হাসপাতালের কোয়াটারের বাসভবনে এখনও প্রতারিতদের নজরবন্দি রয়েছেন বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি দায়িত্ব থাকাকালীন গত এক বছর পূর্বে এরা আমার মৌখিক অনুমোদনে কাজ করে আসছে। তবে তাদের কাছ থেকে চাকুরি বাবদ কোনো টাকা নেই নাই। তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সরকারি নিয়মের মধ্যে পড়তে সহযোগিতা করতে চেয়েছি মাত্র।

জহিরুল ইসলাম জয়, হাজীগঞ্জ করেসপন্ডেন্ট

 

|| আপডেট: ০৬:৩৯ পিএম, ১৫ জানুয়ারি ২০১৬, শুক্রবার

এমআরআর