চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে যুবকের ঘুমের ডিস্টার্ব হওয়ায় আপন বাবা-মা ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী’র উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া যায়। ২৯ নভেম্বর বুধবার উপজেলার বড়কূল পূর্ব ইউনিয়নের রায়চোঁ গ্রামে ঘটেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রায়চোঁ জমিরা বাড়ীর এসু মিয়ার বড় ছেলে নেশাগ্রস্ত যুবক মাসুদ মিয়া বুধবার দুপুরে ঘরের সামনের রুমে শুয়ে ছিল। এ সময় ছোট ভাই প্রবাসী জসিমের স্ত্রী সোনিয়া বেগম ঘরের আসবাবপত্র নাড়াচাড়ার কাজ করতে ছিল। পাশের রুমে নেশাগ্রস্ত যুবক মাসুদের হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলে সে রাগান্বিত হয়ে উঠেন। উচ্চ স্বরে গালিগালাজ করে হাতে ইট নিয়ে এলোপাতাড়ি ছোট ভাইয়ের গর্ভভূতি স্ত্রী সোনিয়াকে মারতে থাকলে পায়ে ছোট লেগে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় বাবা এসু মিয়ার কোপালে ও হাতে এবং মা সাহিদা বেগমের শরীরেও আঘাত পায়।
দিনে-দুপুরে এমন ঘটনার আওয়াজ শুনে বাড়ীর পাশ্ববর্তী লোকজন দৌড়ে আসলে নেশাগ্রস্ত যুবক মাসুদ মিয়া ঘর থেকে পালিয়ে যায়।
আহত সোনিয়া বেগম বলেন, আমার বাসুর মাসুদ ইতিপূর্বে অহেতুক আমাকে মেরেছে কিন্তু কোন বিচার পাইনি। আমার স্বামী বিদেশ থাকে শশুর শাশুড়ির আশ্রয়ে ছোট মেয়ে জান্নাতকে নিয়ে পড়ে আছি। বর্তমানে তার আচরণ অগ্রভাবের কারনে বেশি ভাগ আমার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাই। ঘটনার দিন আমার ছোট বোন রেশমাকে নিয়ে বাড়ীতে আসার পর সে গালিগালাজ শুরু করে এবং আমাকে ইট দিয়ে মারতে গিয়ে তার বাবা মায়ের গায়ে পর্যন্ত ইট পড়েছে।
বাবা এসু মিয়া বলেন, আমার বড় ছেলে মাসুদ মূলত বিয়ে করেনি। যে কারনে প্রতি রাতে বাহিরে সময় কাটিয়ে ভোর বেলায় ঘরে আসে। দিনের অর্ধেক বেলা পর্যন্ত ঘুমিয়ে থাকে। বুধবার ছোট ছেলে জসিমের স্ত্রী বাবার বাড়ি থেকে এসে ঘরের টাং এক পাশ থেকে অন্যপাশে স্থানান্তর করতে গিয়ে আওয়াজ হলে তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। এতে সে অগ্রহয়ে ইট মারলে আমার হাতে পড়ে রক্তাক্ত জখম ও মাথায় আঘাত পাই। আমার স্ত্রীর গায়ে আঘাত পায়।
এ বিষয়ে বাড়ির লোকজন বলেন, সে গভীর রাতে নেশা করে বাড়িতে আসে। প্রায় সময় তাদের ঘরে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকে।
এদিকে হামলাকারী যুবক মাসুদ ফোন ব্যবহার না করায় অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ২৯ নভেম্বর ২০২৩