চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে হোমিও চিকিৎসকের স্ত্রী মোফাস্বেরা বেগমের খুনিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। বুধবার (১৫ জুন) দুপুর সাড়ে ১২ টায় হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের হলরুমে সভাপতি মুন্সী মোহাম্মদ মনিরের সভাপতিত্বে সাংবাদিকদের সামনে নিহতের পরিবারের পক্ষে স্বামী আবুল কাশেম লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
তিনি জানান, মোফাস্বেরা বেগমকে নিজ বাড়ির বসত ঘরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয় । পরে হত্যাকারীরা তার দেহটি বাড়ির পাশের ডোবায় ফেলে রেখে যায় । ঘটনার দিন রাতেই অজ্ঞাতনামা আসামী করে আমি বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ সন্দেহভাজন ১ আসামীকে আটক করে রহস্যজনক কারণে ছেড়ে দেয় । এই হত্যার মূলহোতা কাজী মিঠুকে মোফাস্বেরার স্বামী ও সন্তানরা সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন।
কাজী মিঠুকে পুনরায় আটক এবং তার মোবাইল ফোন ট্র্যাাকিং করা হলে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন হবে জানানো হয়। এছাড়াও হত্যা মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আরো ৪ ব্যক্তির নাম দেয়া হয়েছে। যারা এ হত্যার সাথে জড়িত বলে মোফাস্বেরার পরিবার মনে করে।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পৌর এলাকার খাটরা বিলওয়াই বাড়ীর ডোবা থেকে বৃহস্পতিবার (১৯ মে) হোমিও চিকিৎসক আবুল কাশেমের স্ত্রী মোবাস্বেরা খাতুন (৫২) এর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ লাশটি উদ্ধারকালে ওই নারীর ঘর থেকে রক্তমাখা একটি বটি দা ও চুরি জব্দ করে ।
ওইদিন দুপুরের সময় ডা. আবুল কাশেমের স্ত্রী মোবাস্বেরা বাড়ীতে একা ছিল। বিকেল ৪টায় ডা. আবুল কাশেম বাড়ীতে দুপরের খাবার খেতে যেয়ে দেখে তার ঘরের সকল আসবাবপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে, তার স্ত্রী ঘরে নেই। ঘর থেকে বের হয়ে খোঁজাখুঁজির পর দেখে ঘরের পেছনের ডোবার পাশে তার স্ত্রীর রক্ত মাথা দেহ পড়ে রয়েছে। পরে সে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে মোবাইলে বিষয়টি জানায়।
খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুল হক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মৃতদেহ ও ঘর থেকে রক্ত মাখা একটি চুরি ও বটি দা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
প্রতিবেদক- জহিরুল ইসলাম জয়, হাজীগঞ্জ করেসপন্ডেন্ট