জহিরুল ইসলাম জয়, হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) | আপডেট: ০৯:০৪ অপরাহ্ণ, ০৫ আগস্ট ২০১৫, বুধবার
চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ পৌর ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গূহবধুর কাছ থেকে তালাকনামায় সই নিয়ে কাবিননামার ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন টোরাগড় হাজীবাড়ীর কামাল হোসেনের ছেলে তাজুল ইসলামের সাথে গত ৬ মাস পূর্বে ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের বালিমুড়া মিজি বাড়ির মহিউদ্দীনের মেয়ে নার্গিস আক্তার সুমীর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের সময় যৌতুক বাবদ ছেলে পক্ষকে নগদ ৮০ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন আসবাসপত্র দেওয়া হয়। তারপর শুরু হয় সাংসারিক ঝামেলা।
একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মাঝে সম্পর্ক টিকাতে গিয়ে বিবাদ সৃষ্টি হয় । গত মে মাসের ২২ তারিখে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের কার্যালয়ে বসলে তাৎক্ষণিক কাজী এনে তালাকনামায় জোরপূর্বক গৃহবধূ সুমীর কাছ থেকে সই নিয়ে কাবিননামা বাবদ নগদ ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা নির্ধারণ হয়।
ছেলের পক্ষ দু’দিন পর কাউন্সিলরের হাতে পুরো টাকা দিয়েছেন বলে স্বীকার করেন ছেলের বাবা কামাল হোসেন।
দীর্ঘ ২ মাস পর টাকা না পেয়ে বাবার বাড়ি থেকে গত সোমবার গৃহবধূ সুমী কাবিননামার টাকা চাইতে ছেলের বাড়িতে আসে। ছেলের বাবা স্থানীয় কাউন্সিলর নজরুলের কাছে টাকা দিয়েছে বলে তাকে জানায়।
ওই গৃহবধূ নজরুলের খোঁজ পায় না বলে আবারো শ্বশুর কামালের কাছে আসলে ক্ষিপ্ত হয়ে শ্বশুর-শাশুড়ি তার ওপর হাত তুলে শারীরিক নির্যাতন চালায় ।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার গৃহবধূ সুমীর লোকজন স্বামীর বাড়িতে গেলে পূর্বের সমাধানের কাবিননামার টাকা কাউন্সিলর নজরুলকে দিয়েছে বলে আবারো স্বীকার করেন শ্বশুর কামাল হোসেন। তখন তারা উভয় লোকজন মিলে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুলকে ফোন দেয়। জবাবে কাউন্সিলর নজরুল বর্তমানে ঢাকা আছে বলে জানায় এবং এ বিষয়ে আগামী শনিবার উভয় পক্ষকে দেখা করতে বলে।
এদিকে ‘সমাধানের পরও কেনো টাকা পায়নি’ জানতে চাইলে তারা উভয় পরিবার কাউন্সিলর নজরুলকে দোষারোপ করেন।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর নজরুলের সাথে ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো টাকা পাইনি। তবে আমাকে দেওয়ার কথা বলেছে। আমি আগামী শনিবার এ বিষয়ে সমাধান করবো বলে জানান।’
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/এমআরআর/২০১৫