চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার কাপাইকাপ গ্রামে গৃহবধু তাছলিমা বেগমকে ধর্ষণের চেষ্টা ও শ্লীলতা হানির অপরাধে প্রতিবেশী মো. বাবুল (৫০) কে ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ডা ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক মামুনুর রশিদ এ রায় দেন। তাছলিমা বেগম ওই গ্রামের অজির বাড়ীর মো. মিজানুর রহমানের স্ত্রী এবং অভিযুক্ত বাবুল একই গ্রামের ওয়াজ উদ্দিন মাষ্টার বাড়ীর মৃত শাহাজ উদ্দিনের ছেলে।
মামলার নথি সূত্রে জানাযায়, ২০১৩ সালের ৪ জুলাই রাত আনুমানিক ১০টার দিকে গৃহবধু তাছলিমা তার নিজ বসত বাড়িতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে নিজ ঘর হতে বের হন। এ সময় পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা অভিযুক্ত বাবুল তাকে জাপটে ধরে পড়নের কাপড় ছিড়ে ফেলে এবং বিব¯্র করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। গৃহবধুর চিৎকারে বাড়ী লোকজন এগিয়ে আসলে বাবুল পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৪ সেপ্টেম্বর গৃহবধু তাছলিমা বাদী হয়ে বাবুলকে অভিযুক্ত করে চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাজীগঞ্জ থানার তৎকালীন উপ-পরির্দশক (এসআই) মো. বেলায়েত হোসেন একই বছরের ২৪ নভেম্বর আদালতে চার্জসীট দাখিল করেন।
চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের স্পেশাল পিপি হাবীবুল ইসলাম তালুকাদার জানান, ৪ বছর মামলাটি চলমান অবস্থায় সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (৪) (খ) ধারায় আসামী বাবুলের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে এ সাজা প্রদান করেন। সরকার পক্ষের সহকারী আইনজীবী (এপিপি) ছিলেন জসিম উদ্দিন ভুঁইয়া।
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
: : আপডেট, বাংলাদেশ ১০: ০০ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বুধবার
ডিএইচ