চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বিয়ে বাড়ীতে গায়ে হলুদে না থেকে বর এখন হাসপাতালের রুমে কাতরাচ্ছে। এ নিয়ে বর ও কনে পরিবারের মাঝে বিয়ে ব্ন্ধ হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে দুঃচিন্তা ও হতাশা।
হয়তো অনাকাক্ষিত এক ঘটনার কারণে বিয়ে ভেঙ্গে যেতে বসেছে। আর এমন ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার হরিপুর গ্রামের মিস্ত্রি বাড়িতে।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, হরিপুর গ্রামের আবুল বাশারের নতুন বাড়ীতে প্রবাসী সেলিম মিয়ার ছেলে তারেক হোসেনের (২৭) সাথে পাশবর্তী গ্রামের জনৈক এক কনের বিয়ের সিন্ধান্ত হয় শুক্রবার।
কিন্তু গত বুধবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে তারেকের চাচা আ.হক এ বিয়ে যেন না হয় এ জন্য তার ছেলেরা মিলে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তারেকসহ তার প্রতিবন্ধী ভাই বাবলু ও মা তাহেরা বেগম গুরুতর আহত হয়। পরে তাদেরকে বাড়ির লোকজন রাতেই হাজীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে এনে ভর্তি করায়।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বর তারেকের মা বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযুক্ত আসামীরা হলেন, আব্দুল হক ও তার ছেলে রাহাদ, রুবেল, মোবারক ও রেনু বেগম।
এ বিষয়ে তারেকের মা তাহেরা বেগম বলেন, আমার ছেলে বিদেশ থেকে এসেছে কিছু দিন হলো। শুক্রবার বিয়ের প্রস্ততি নিয়ে সকল আয়োজন শেষ করেছি। গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান উপলক্ষে এরইমধ্যে বাড়িতে মেহমান পুরে গেছে। অথচ বিয়ে বন্ধ করার জন্য তারা আমাদেরকে মেরে হাসপাতালে পাটিয়েছে। আমি এ বিষয়টি প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছি যেন সষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনার বিচার পাই।
এ বিষয়ে একাধিকবার চেষ্টা করেও অভিযুক্তের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জহিরুল ইসলাম জয়
: আপডেট, বাংলাদেশ ৫:০৩ পিএম, ২ নভেম্বর, ২০১৭ বৃহস্পতিবার
ডিএইচ