হাজীগঞ্জে গরুর খামারে স্বাবলম্বী মামুন

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামে উন্নত জাতের গরুর খামারে স্বাবলম্বী হয়েছেন যুবক মামুন পাটোয়ারী (৪৬)। ৫/৬টি দেশীয় গরু দিয়ে খামার শুরু করে এখন খামারে প্রায় ৩০টি গরু রয়েছে। খামারের পাশাপাশি রয়েছে একাধিক মৎস্য খামার ও রাইচ মিল। একজন সফল খামারী হিসাবে এখন পর্যন্ত পায়নি সরকারি কোন সুযোগ সুবিদা।

শনিবার গরুর খামার ঘুরে দেখা গেছে, ফিজিয়াম ও শঙ্কর জাতের ৪টি গাভী ও ৫টি বাছুরসহ ছোট বড় গরু রয়েছে প্রায় ৩০ টি। উন্নতমানের শেডে রেখে গরুগুলোকে পরিচর্যা করা হচ্ছে। প্রতিদিন খামারে ৪ হাজার টাকার ভুসি, ফিড, ঘাস মিলে মোট ৫ হাজার টাকার খাদ্যের প্রয়োজন হয় এই খামারে।

মামুন পাটোয়ারী জানান, খামার পরিচার্য করা জন্য ৩/৪ জন শ্রমিক রয়েছে। দিন রাতে এ শ্রমিকরা খামারে কাজ করে। ঘাস কাটার মেশিন রয়েছে, তা দিয়ে সহজে ঘাস ও খড় কাটা হয়। পশু চিকিৎসকের পরামর্শে খামারের গরুগুলো রোগ-বালাইর বিষয়ে দেখাশুনা করার কাজে নিয়োজিত আছি। বর্তমান খামারে গরুর কোনো রোগ-বালাই নেই, প্রতিটি গরু সুস্থ রয়েছে। প্রতিদিন এক একটি গাভি ৮ থেকে ১০ লিটার দুধ দিয়ে থাকে। খামারের গরু থেকে যে গবর পাওয়া যায়, সেই গবরগুলো জৈব সারের কাজ হয়।

খামারী মামুন পাটোয়ারী মনে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি বিগত এক যুগ ধরে এ গরুর খামার অথচ সরকারি ভাবে কোন দিন উপজেলা পশু সম্পদের লোকজন সরকারি ভাবে কোন সুযোগ সুবিধা দেয়নি। তাছাড়া আমার কয়েকটি মৎস্য খামার এবং রাইচ মিল রয়েছে কিন্তু সরকারি ভাবে কোন প্রনোদনা পাইনি।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীন মিয়া চাঁদপুর টাইমসকে জানান, পশুসম্পদ অধিদপ্তর থেকে খামারিদের সবধরনের পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করা হয়। মামুন পাটোয়ারী নামে এ খামারীর নাম জানা নেই। তবে সরেজমিনে গিয়ে দেখবো।

প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩

Share