হাজীগঞ্জ উপজেলার ৪নং কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের ভাটরা আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মদীনাতুল উলুম মাদ্রাসার সম্পত্তি দখলে ব্যর্থ হয়ে মাদ্রাসা এবং বাসা বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলা ৪ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন থানা পুলিশ। ঘটনাটি গত সোমবার (৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২ টার দিকে।
জানা যায়, মাদরাসা প্রতিষ্ঠাতাদের সম্পত্তি দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন স্থানীয় একটি চক্র। মাদ্রাসার সম্পত্তি রক্ষার্থে মোহতামিম (অধ্যক্ষ) ও সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ ইউছুফ আলী চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৫ ধারায় একটি অভিযোগ দায়ের (নং- ৩৬৫/২০২২) করেন।
আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে ওই সম্পত্তিতে অস্থায়ী স্থীতিবস্থাসহ শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন। মাওলানা মোহাম্মদ ইউছুফ আলী ওই গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে। আদালতে দায়েরকৃত অভিযোগে একই গ্রামের মৃত হাফেজ ইব্রাহিমের ছেলে মাওলানা আবুল বাশার ও মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে মো. আনোয়ার হোসনকে তিনি বিবাদী করেন। এতে বিবাদীরা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের উপর আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১১ টায় মাদ্রাসার নিজস্ব সম্পত্তির মধ্য ছাত্র ওস্তাদসহ তারা কয়েকজন বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করতে যায়। ওই সময় প্রতিপক্ষ আবুল বাশারের নেতৃত্বে ৪০/৫০ জন সঙ্গবদ্ধ দল তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের হাত থেকে আত্মরক্ষার্থে দৌড়ে মাদ্রাসা কক্ষে গেলেও সেখানেও তারা হামলা চালায়।
এমনকি হামলাকারীরা মাদ্রাসা ও মাওলানা ইউসুফ আলী গংদের বাসা বাড়িতে হামলা চালায়৷ তাদের এই অতর্কিত হামলা ৪ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, মিরন, রফিক, রিপন ও ক্বারী ওমর ফারুক। আহতদের মধ্য ক্বারী ওমর ফারুক প্রাথমিক চিকিৎসা নিলেও বাকী ৩ জন চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়াও হামলাকারীরা জন সাধারণের চলাচলের পথ কেটে পেলেন।
এ ঘটনার খবর পেয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দসহ সর্ঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে এই পর্যন্ত কেউ থানা মামলা দায়ের করেননি।
মাদ্রাসা অধ্যায়নরত কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা হলে তারা বলেন, ঘটনার দিন রাতে দূস্কৃতকারী মাদ্রাসা হামলা চালায়। তারা ওস্তাদসহ কয়েকজনকে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি আক্রমণ করে। তাদের হামলা ৪ জন গুরুতর আহত হয়। আমরা এই হামলার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে ন্যায় প্রার্থনা করছি।
থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ বলেন, এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়,৫ এপ্রিল ২০২২