চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে প্রতারলার মাধ্যমে মার্কেটের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও ব্যাংকের কয়েক কোটি টাকা নিয়ে এক জুতা ব্যবসায়ী উদাও হওয়র অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় কাতার কানাডা মার্কেট মালিক মো. শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
তথ্য সুত্রে জানাযায়, হাজীগঞ্জ বাজারের সুনামধন্য কাতার কানাডা মার্কেটের ২য় তলার লাক্সারী সুজ এর স্বত্ত্বাধীকারী মো. রাশেদ দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবসা করে আসছেন। এই সুবাধে ব্যবসায়ী রাশেদের সাথে অনেকের সাথে সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সম্পর্কের খাতিরে সে বিভিন্ন জন থেকে কয়েক কোটি টাকা নিয়ে উদাও হয়ে যায়।
মার্কেট মালিক সফিকুল ইসলাম জানান, বিজয়ের মাসে গত এক সাপ্তাহ আগে লাক্সারী সুজ দোকানে ৫০ ভাগ ছাড়ে জুতা বিক্রি শুরু করে। হঠাত দোকানের এমন পরিস্থিতি দেখে আমার সন্দেহ হলে আমি প্রথমে ব্যবসায়ী রাশেদকে খোঁজ করি। দোকানের কর্মচারী মালিকের তথ্য দিতে না পারায় সন্দেহ হলে আমি মার্কেটের অন্যান্য ব্যবসায়ীদের নিয়ে দোকান বন্ধ করে দেই।
দোকান বন্ধের পর পরই বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও ব্যাক্তিরা দোকানের সামনে এসে ভিড় জমায়। এতে অনেকের কাছ থেকে জানতে পারি রাশেদ কারো কাছ থেকে ৪২ লক্ষ, কারো কাছে ২৮ লক্ষ, কারো কাছে ৩৫ লক্ষ এমন কি ব্যাংকের কাছে ১৫ লক্ষ টাকাসহ প্রায় কয়েক কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায় এ জুতা ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় আমি হাজীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
উধাও হওয়া জুতা ব্যবসায়ী রাশেদ শাহরাস্তি উপজেলার বলশীদ চেঙ্গাচাল মজুমদার বাড়ীর মৃত সেকান্তর আলীর ছেলে। সে বর্তমানে তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে পলাতক রয়েছে।
কাতার কানাডা মার্কেটের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, আমাদের মার্কেটের ব্যবসায়ীদের মধ্যেও একটি সমিতি রয়েছে। সেই সমিতি থেকে রাশেদ ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে। ব্যবসায়ীরা আরো জানান, বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে ধার নেয়া লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার ঘটনাটি আমাদের মার্কেটের ব্যবসায়ীদের শুনাম নষ্ট হচ্ছে। অবিলম্বে দ্রুত তাকে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।
কোটি কোটি টাকা নিয়ে উধাও হওয়া জুতা ব্যবসায়ী রাশেদের বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার ওসি মহিউদ্দিন ফারুক জানান, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি, তাকে খুঁজে বের করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রতিবেদক:জহিরুল ইসলাম জয়, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪