প্রথমে বাঁশের খুঁটি দিয়ে দোকানঘর নির্মাণ। তারপর এভাবে কয়েকবছর ব্যবসা করে আসলেও প্রশাসনের তেমন কোন নজর ছিল না। ক্রমান্বয়ে দু’একটি থেকে শুরু করে বর্তমানে প্রায় ৩০টি দোকানঘর খালের উপর খুঁটি বসিয়ে দখলে রয়েছে। একজনের দেখায় আরেক জন এ পদ্ধতিতে হাজীগঞ্জ কৈয়ারপুলের সরকারি খালটি যেন এখন দখলের হিড়িক পড়ে গেছে।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় হাজীগঞ্জ উপজেলার ৫নং সদর ইউনিয়নের চাঁদপুর-কুমিল্লা সড়কের কৈয়ারপুল এলাকায় সরকারি খালের উপর ইমারত নির্মাণের একাধিক চিত্র।
ওলিপুর থেকে ডাকাতিয়া নদী হয়ে খালটি দিয়ে ইরি-বোরো চাষাবাদের জন্য প্রকৃতি নির্ভর পানি চলাচল করে আসছে। বর্ষার সময় খালটি দিয়ে এক সময় নৌকা চলাচল করলেও বর্তমানে খালটি দখলদারকে কারণে এমন সরু হয়েছে যে, ছোটখাটো নৌকা চলাচল করা সম্ভব না। গত কয়েক বছর ধরে কৈয়ারপুল বাজারের কিছু কিছু ব্যবসায়ীরা ইমারত নির্মাণের মধ্য দিয়ে চালিয়ে আসছে ব্যবসা।
সরকারি খালের উপর নির্মিত ইমারত গড়ে তোলেন এমন কয়েক জন হচ্ছেন সাতবাড়ীয়া এলাকার বিল্লাল হোসেন, মোস্তফা, উচ্চংগা গ্রামের আব্দুল মান্নান,স্থানীয় কৈয়ারপুল এলাকার বর্তমান মেম্বার সোহরাব হোসেন,সাবেক মেম্বার মনির হোসেনসহ বেস কয়েকজন দখলদারের নাম।
সাতবাড়িয়া এলাকার মোস্তফা নিজে দাঁড়িয়ে শ্রমিকদের কাজ করা অবস্থায় তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরাতো পরে উঠাইতেছি,পূর্বে যারা উঠিয়েছে তারা কিভাবে পারলো? তখন আপনারা কোথাই ছিলেন?
দখলটা কি নিয়মের মধ্যে পড়ে কিনা এমন প্রশ্নের জবাব তিনি অনেকটা এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারি ভূমি কর্মকর্তা ওলিউজ্জামান বলেন, “বিষয়টি জেনেছি,আজকের মধ্যে ক্ষতিয়ে দেখে দখলদারদের উচ্ছেদের নোটিশ করা হবে।”
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও কৃষিনির্ভর খালটি দখলদার মুক্ত করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরি বলে মনে করেন সচেতনমহল।
জহিরুল ইসলাম জয়, হাজীগঞ্জ করেসপন্ডেন্ট
।। আপডেট: ০৮:২৫ পিএম, ১৮ নভেম্বর ২০১৫, বুধবার
ডিএইচ/এমআরআর