বাসায় দেরিতে আসায় মা বকা দিয়েছে। তাতেই রাগ করে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল মাদ্রাসার ছাত্রী সিপা (১৭)। গুরুতর অবস্থায় পুলিশের কাছে এমনটাই বলেছেন ওই ছাত্রী।
১১ জানুয়ারি শনিবার রাতে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
শনিবার বিকালে ৫টার দিকে বাসায় ঢুকে মায়ের বকুনী খেয়ে সিপা আত্মহুতির করার চেষ্টা করে। ঘটনাটি উপজেলার পৌরসভাধীন ৫নং ওয়ার্ডের ট্রাক রোডে ঘটে।
গুরুতর আহতাবস্থায় ওই ছাত্রীকে প্রথমে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
সে হাজীগঞ্জ দারুল উলুম আহমাদিয়া কামিল মাদরাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ী হাজীগঞ্জ উপজেলার ৬নং বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের কাইজাঙ্গা গ্রামে। তার বাবা প্রবাসি দেলোয়ার হোসেন। তারা হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের ট্রাকরোডে একটি ভাড়া বাসায় থাকতো।
খবর শুনে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আলমগীর হোসেন রনি ও সঙ্গীয় ফোর্স হাসপাতালে যায়। তিনি জানান,ওই শিক্ষার্থীর শরীরের বেশির ভাগ অংশ পুড়ে গেছে।
হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক অংশু মাল পাল বলেন,‘আগুনে মেয়েটির শরীর প্রায় পুড়ে গেছে। বাঁচার কোন লক্ষণ নেই। প্রায় ৭০/ ৮০ ভাগ পুড়ে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুমিল্লা প্রেরণ করেছি।’
জানতে চাইলে সিপার মা শিল্পী বেগম চাঁদপুর টাইমসকে বলেন,বাসায় আসতে কেন দেরি হলো-জানতে চাইলে রেগে গিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। আমরা এখন কুমিল্লা মেডিকলে কলেজ হাসপাতালে আছি।
স্পেশাল করেসপন্ডেট