Home / শীর্ষ সংবাদ / হাজীগঞ্জে ৩৫ একর কৃষি জমি গত কয়েক বছর ধরে পানিবন্দি
কৃষি

হাজীগঞ্জে ৩৫ একর কৃষি জমি গত কয়েক বছর ধরে পানিবন্দি

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার প্রায় ৩৫ একর কৃষি জমির মাঠ গত কয়েক বছর ধরে পানিবন্দি অবস্থায় পড়ে আছে। যে কারনে এখানকার প্রান্ত্রিক কৃষকরা চাষাবাদ করতে পারছে না। এমনকি পানি নিষ্কাশনের অভাবে জমির মালিকরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে মাছ চাষ পর্যন্ত করতে পারছে না। সমাধানের লক্ষ্যে কেউ এগিয়ে না আসায় এভাবে পড়ে আছে গত কয়েক বছর ধরে। এমন বাস্তব জটিলতা উপজেলা ও পৌরসভার নিকটে হওয়া সত্বেও যেন দেখার কেউ নেই।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার ৭ নং ওয়ার্ড বদরপুর উত্তর মাঠ ও উপজেলার ৮নং হাটিলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বলিয়া গ্রামের পশ্চিম মাঠ মিলে প্রায় ৩৫ একর আবাদি জমি চাষাবাদ করতে পারছে না পানিবন্ধীর কারনে। চারদিকে সড়ক ও জনবসতি গড়ে উঠায় পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা দেখা যায়নি।

এর কারণ খুঁজতে গিয়ে আরো দেখা যায়, গত প্রায় ৪ বছর পূর্বে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির ১৩৩ কেভি গ্রিড বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণের কারনে বলিয়া বদরপুর কৃষি মাঠের একমাত্র পানি চলাচলের হাজীগঞ্জ কচুয়া সড়কের উপর কালভাটটি বন্ধ হয়ে যায়। উক্ত স্থানে বিকল্প পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করার ফলে এখানকার কৃষি মাঠের প্রায় ৩৫ একর আবাদি জমি পানিবন্দি অবস্থায় বছরের পর বছর অতিবাহিত হয়ে পড়ে আছে।

এখানকার পানিবন্দি মাঠের জমির মালিক ও কৃষক মফিজুর রহমান, বাহাদুর গাজী, দেলু মিয়া, এমরান হোসেন, মিজান ও আবুল কালাম বলেন, আমরা গত ৪ বছর এ মাঠে কোন প্রকার চাষাবাদ বা রবি শষ্যের আবাদ করতে পারছি না পানি বন্ধীর কারনে। এমনকি কচুরিপানা ভরে যাওয়ায় মাছ চাষও করার সুযোগ নেই। মূলত বিদ্যুৎ উপ-কেন্দ্র স্থাপন করে তারা কালভাটের মূখ বন্ধ করে দিয়েছে। বছরের পর বছর পার হওয়া সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত আমরা পানি নিস্কাশনের কোন সুরাহ পাচ্ছি না। এভাবে পড়ে থাকলে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে।

এ বিষয়ের সমাধানের প্রশ্নে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ ও হাজীগঞ্জ পৌরসভা থেকে আশু কোন সমাধান না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল বলেন, আমার কাছে লিখিত অভিযোগ আসলে বিকল্প নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো।

প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪