বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে দেশজুড়ে সাধারন ছুটি বৃদ্ধির পাশাপাশি একের পর এক লকডাউনে অচল হয়ে পড়েছে মানুষের জীবনযাত্রার মান। আর এতে করে এক জেলা থেকে অন্য জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বিচ্ছিন্নের ফলে মানুষের নিত্যদিন চাহিদা পূরনে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আর সেই মুহুর্তে হাজীগঞ্জের ৭নং বড়কূল পশ্চিম ইউনিয়নের একাধিক কৃষক সবজি চাষে এখানকার মানুষের চাহিদা পূরনে অবদান রাখতে দেখা যায়।
সরেজমিনে গেলে ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের ভূইয়া বাড়ীর কৃষক মনির হোসেন শশা ক্ষেতে মাচা দেওয়া মুহুর্তে কথা হয়। তিনি বলেন, আমি প্রায় দুই একর জমিতে শশা, টমেটো, বেগুন লাগিয়েছি। ইতিমধ্যে শশার ফুল বের হয়ে প্রায় ফলন বেড়ে উঠতে শুরু করেছে। পাশাপাশি টমেটো ও কালা বেগুন বিক্রি শেষ পর্যায়।
আমাদের এ অঞ্চলে বর্ষার পানি শেষ হওয়ার সাথে সাথে এখানকার কৃষকরা লাউ, মিষ্টি কুমড়াসহ নানা ধরনের রবি শষ্য চাষাবাদ করে আসছে।
এ সময় দেশের এ দূর্যোগ মুহুর্তে এ অঞ্চলের মানুষের মাঝে এসব তাজা সবজি বিক্রি করে চাহিদা পূরনে কিছুটা হলেও অবদান রাখতে পারবে বলে দাবি করেন কৃষক মনির হোসেন।
বড়কূল পূর্ব ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও স্থানীও বাসিন্দা আবু নাসের সুমন বলেন, গোবিন্দপুর, রামচন্দ্রপুর ও সাদ্রা গ্রামে সবচেয়ে বেশী হয় রবি শাক সবজি চাষাবাদ। দেশের এ ক্লান্তি কালে আমরা এখান থেকে ক্রয় করে তরু-তরকারীর চাহিদা পূরন করতে সক্ষম হবো।
এ অঞ্চলের মাটির গুনগত মান অনুকূলে থাকায় ব্যাপক রবি শষ্য উৎপাদন করা সম্ভব হতো যদি উপজেলা কৃষি সম্পসারন অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকরদের জন্য বিজ, সারসহ নানা সুযোগসুবিধা গ্রহনের উদ্যাগ নেওয়া হতো।
প্রতিবেদক:জহিরুল ইসলাম জয়,১০ এপ্রিল ২০২০